বিহার নির্বাচন: ভোট চুরি এবং নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিরোধীদের ইমপিচমেন্টের হুমকি

বিহার নির্বাচন: ভোট চুরি এবং নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিরোধীদের ইমপিচমেন্টের হুমকি

বিহার নির্বাচনের মধ্যে বিরোধী দলগুলি মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের বিরুদ্ধে ভোট চুরির অভিযোগ তুলেছে। কংগ্রেস ইঙ্গিত দিয়েছে যে প্রয়োজন পড়লে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনা হতে পারে। নির্বাচন কমিশন এই অভিযোগগুলিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেছে।

Bihar Election: বিহার নির্বাচনের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিরোধী দলগুলো নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। কংগ্রেস সাংসদ সৈয়দ নাসির হুসেন স্পষ্ট করেছেন যে দল গণতান্ত্রিক অধিকার ব্যবহার করবে এবং প্রয়োজন হলে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবও আনতে পারে। বিরোধীদের অভিযোগ, ভোটার তালিকায় গরমিল করে ‘ভোট চুরি’ করার চেষ্টা চলছে।

রাহুল গান্ধীর অভিযোগ এবং বিরোধীদের অবস্থান

এই পুরো বিতর্কের শুরু কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর একটি বক্তব্য থেকে। তিনি নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিহারে ভোটার তালিকা কারচুপির অভিযোগ করেছেন এবং বলেছেন যে প্রচুর সংখ্যক নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। রাহুল গান্ধী এটিকে গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হিসেবে অভিহিত করে বলেন, ভোটার তালিকা নিয়ে কারচুপি যে কোনও নির্বাচনের স্বচ্ছতার উপর প্রশ্ন তুলতে পারে।

এরপর বিরোধী দলগুলো এই ইস্যুটি সংসদ ও রাজপথ উভয় স্থানেই তুলেছে। বিরোধীরা বলেছে যে নির্বাচন কমিশন যদি নিরপেক্ষ না থাকে তবে গণতন্ত্রের শিকড় দুর্বল হয়ে যাবে। এই কারণে বিরোধীরা এখন ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবের মতো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে।

নির্বাচন কমিশনের জবাব এবং অবস্থান

বিরোধীদের অভিযোগের পর নির্বাচন কমিশন একটি প্রেস কনফারেন্স করে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার বলেছেন যে ‘ভোট চুরি’র অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতার সাথে কাজ করছে এবং কোনও রাজনৈতিক দলের চাপে নতি স্বীকার করবে না।

নির্বাচন কমিশন আরও জানিয়েছে যে বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধনী প্রক্রিয়া চলছে। এই সময়কালে, ২৮,৩৭০ জন তাদের দাবি ও আপত্তি নথিভুক্ত করেছেন। কমিশন জানিয়েছে যে এর জন্য ১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল।

সব রাজনৈতিক দল সমান – নির্বাচন কমিশন

প্রেস কনফারেন্সে নির্বাচন কমিশন স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে তাদের কাছে কোনও পক্ষ বা প্রতিপক্ষ নেই। সমস্ত রাজনৈতিক দল সমান। কমিশন ভোটারদের তাদের সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগ করার এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার উপর আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়েছে।

ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবের প্রক্রিয়া

ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সংবিধান অনুযায়ী, মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে অপসারণের প্রক্রিয়া শুধুমাত্র সংসদের মাধ্যমেই সম্ভব। এর জন্য সংসদের উভয় কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজন। এই প্রক্রিয়ায়, বিরোধীদের ব্যাপক সমর্থন জোগাড় করতে হবে, কারণ বর্তমান পরিস্থিতিতে এই পদক্ষেপ সহজ বলে মনে করা হচ্ছে না।

Leave a comment