অসমের গোয়ালপাড়া জেলায় ৬৬৭টি পরিবারকে উচ্ছেদ করার ঘটনায় রাজ্য সরকারের কাছে জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট। আবেদনকারীদের অভিযোগ, কোনও নোটিশ ছাড়াই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে এবং সংখ্যালঘুদের নিশানা করা হয়েছে।
Assam Bulldozer Action: অসমের গোয়ালপাড়া জেলায় রাজ্য সরকার কর্তৃক চালিত উচ্ছেদ অভিযানকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আটজন বাসিন্দা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। আবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে যে, ৬৬৭টি দরিদ্র পরিবারকে কোনও প্রকার উপযুক্ত নোটিশ এবং শুনানি ছাড়াই তাদের ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। আবেদনকারীরা এটিকে সুপ্রিম কোর্টের ১৩ নভেম্বর, ২০২৪-এর রায়ের লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছেন, যেখানে কারণ দর্শানোর নোটিশ এবং জবাব দেওয়ার জন্য ১৫ দিনের সময় দেওয়া ছাড়া কোনও নির্মাণ ভাঙতে নিষেধ করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট বলেছে- শুনানি করব, কিন্তু...
প্রধান বিচারপতি ভূষণ रामकृष्ण গাভাই এবং বিচারপতি কে. বিনোদ চন্দ্রনের বেঞ্চ অসমের মুখ্যসচিব এবং সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নোটিশ জারি করেছেন। আদালত দুই সপ্তাহের মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট করে বলেন যে, যদি রাজ্য সরকার প্রমাণ করতে পারে যে জমিটি সরকারি, তাহলে আদালতের আদেশ তার উপর প্রযোজ্য হবে না। সুপ্রিম কোর্ট আগেই স্পষ্ট করেছে যে, সরকারি জমি এবং জনসাধারণের স্থানে অবৈধ দখলের ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশ ছাড়াই পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব।
আবেদনকারীদের দাবি
আবেদন দাখিলকারী বাসিন্দারা আইনজীবী আদিল আহমেদের মাধ্যমে জানিয়েছেন যে, তাঁরা গত ৬০ থেকে ৭০ বছর ধরে ওই এলাকায় বসবাস করছেন। তাঁদের বক্তব্য, ব্রহ্মপুত্র নদ সময়ে সময়ে তার গতিপথ পরিবর্তন করে, যার ফলে তাঁদের উঁচু এলাকায় সরে যেতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে মানুষ বসবাসের জন্য ওই স্থানটি বেছে নিয়েছেন। তাঁদের দাবি, এটি নতুন কোনও অবৈধ দখল নয়, বরং এটি একটি জনবসতিপূর্ণ গ্রাম, যেটিকে কোনও রকম যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই उजाड़ করা হয়েছে।
শুনানির অধিকার সকলের
আবেদনকারীদের তরফে আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে আদালতে বলেন যে, অবৈধ দখলের অভিযোগে অভিযুক্তদেরও আইনি প্রক্রিয়ার অধিকার আছে। তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের মাত্র দু'দিনের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল এবং তার পরেই সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়। তিনি আরও বলেন যে, এমনকি যদি জমিটি সরকারিও হয়, তবুও সুপ্রিম কোর্টের ২০২৪ সালের রায় অনুযায়ী নোটিশ এবং জবাবের জন্য সময় দেওয়া বাধ্যতামূলক।
আদালতের चेतावनी- যদি জমি सरकारी हुई तो राहत नहीं मिलेगी
শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, তারা নোটিশ জারি করবে, কিন্তু যদি রাজ্য সরকার বলে যে জমিটি সরকারি, তাহলে আদালত কোনও রকম সাহায্য করতে পারবে না। প্রধান বিচারপতি গাভাই বলেন যে, আদালত কোনও সরকারি বা सार्वजनिक জমিতে তৈরি অবৈধ দখলকে संरक्षण দেবে না। আদালতের এই মনোভাব স্পষ্ট করে যে, সুপ্রিম কোর্ট জনहितে একটি संतुलित दृष्टिकोण अपनाना চায়, যেখানে गरीबों के अधिकारों की रक्षा हो, কিন্তু सरकारी जमीन पर कब्जा करने को प्रोत्साहन न मिले।
সংখ্যালঘুদের নিশানা বানানোর অভিযোগ
আবেদনকারীরা আরও অভিযোগ করেছেন যে, এই উচ্ছেদ অভিযান একতরফা এবং भेदभावমূলক। আবেদনে বলা হয়েছে যে, উচ্ছেদের পদক্ষেপ প্রধানত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়েছে, যেখানে একই পরিস্থিতিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়ের লোকেদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। যদি এই অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হয়, তবে এটি সংবিধানের সাম্যের অধিকারের লঙ্ঘন হতে পারে।
পুনর্বাসন এবং मुआवजेের দাবি
আবেদনে সুপ্রিম কোর্টের কাছে यह अनुरोध भी किया गया है कि प्रभावित लोगों को अंतरिम राहत दी जाए। इसके तहत उनके ध्वस्त किए गए घरों, स्कूलों और अन्य ढांचों के लिए मुआवजा, पुनर्वास और पुनर्निर्माण के निर्देश देने की मांग की गई है। याचिका में यह भी बताया गया कि प्रभावित लोगों को पहले कभी किसी सरकारी प्राधिकरण की ओर से कोई आपत्ति या नोटिस नहीं मिला था।