সোনার দামে পতন: কারণ ও বিশেষজ্ঞদের মতামত

সোনার দামে পতন: কারণ ও বিশেষজ্ঞদের মতামত

২০শে অগাস্ট সোনার দাম তিন সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে নেমে এসেছে, সেই সঙ্গে রূপো সহ অন্যান্য মূল্যবান ধাতুও সস্তা হয়েছে। ডলারের শক্তিশালী হওয়া এবং ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বক্তৃতা দেওয়ার আগে বিনিয়োগকারীরা সতর্ক ছিলেন। যদিও, বিশ্লেষকদের ধারণা, সুদের হারে সম্ভাব্য कटौती এবং ডলারের দুর্বলতা ভবিষ্যতে সোনাকে আরও দামি করতে পারে।

Gold Price Today: বুধবার, ২০শে অগাস্ট আন্তর্জাতিক বাজারে সোনা ও রূপোর দামে পতন দেখা গেছে। ডলারের দৃঢ়তা এবং এই সপ্তাহে জ্যাকসন হোল, ওয়াইওমিং-এ ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বার্ষিক বক্তৃতা দেওয়ার আগে বিনিয়োগকারীরা সতর্ক মনোভাব অবলম্বন করেছেন। সোনা তিন সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে, যেখানে রূপো, প্ল্যাটিনাম এবং প্যালাডিয়ামের দামও কমেছে। COMEX-এ সোনা ০.০৪% কমে ৩৩৫৭.২০ ডলার প্রতি আউন্স এবং রূপো ০.৪২% কমে ৩৭.১৭৫ ডলার প্রতি আউন্সে দাঁড়িয়েছে। যদিও বিশেষজ্ঞদের অনুমান, আগামী দিনে সোনা আরও দামি হতে পারে।

ডলারের দৃঢ়তায় সোনার ওপর চাপ

ডলারের বিপরীতে অন্যান্য মুদ্রার দুর্বল হওয়ার কারণে সোনার ওপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা এই মুহূর্তে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বক্তৃতার জন্য অপেক্ষা করছেন। শুক্রবার জ্যাকসন হোল, ওয়াইওমিং-এ এই বার্ষিক বক্তৃতাটি অনুষ্ঠিত হবে এবং এটিকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। বাজার আশা করছে যে এখান থেকে ভবিষ্যতের সুদের হার এবং আর্থিক নীতি সম্পর্কিত কিছু ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে। এই কারণে সোনার দাম ক্রমাগত চাপের মধ্যে রয়েছে।

মুদ্রাস্ফীতির পরিসংখ্যানের প্রভাব

সম্প্রতি আমেরিকাতে আসা মুদ্রাস্ফীতির পরিসংখ্যান প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ছিল। এর ফলে ফেডারেল রিজার্ভের আর্থিক নীতি আরও জটিল হয়ে পড়েছে। বাজারে আগে থেকেই আশা করা হচ্ছিল যে খুব শীঘ্রই সুদের হারে कटौती করা হতে পারে, কিন্তু মুদ্রাস্ফীতি বাড়ার কারণে সেই সম্ভাবনা কমে গেছে। কিছু ব্যবসায়ী এখন মনে করছেন যে ফেড সম্ভবত আক্রমণাত্মক कटौती থেকে নিজেদেরকে বাঁচিয়ে চলতে পারে।

আমেরিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক সংক্রান্ত পরিকল্পনা নিয়েও বাজারে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, যদি এর ওপর কোনো বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তবে তার সরাসরি প্রভাব দামের ওপর পড়বে। শুল্ক বাড়লে খরচ বাড়তে পারে এবং মুদ্রাস্ফীতির ওপর চাপ আরও বাড়তে পারে। এই কারণেই ফেডারেল রিজার্ভের সিদ্ধান্তের দিকে সবার নজর রয়েছে।

এখন পর্যন্ত সোনার গতিবিধি

এই বছর সোনার দামে এক ত্রৈমাসিকের বেশি সময় ধরে বৃদ্ধি দেখা গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলির ক্রয়, এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ডস (ETF)-এ বিনিয়োগ এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা সোনাকে শক্তিশালী সহায়তা দিয়েছে। এছাড়াও, বিশ্ব অর্থনীতির ওপর শুল্কের প্রভাব নিয়ে তৈরি হওয়া উদ্বেগও সোনাকে উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। যদিও গত কয়েক মাস ধরে সোনার দাম একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে।

বিশ্লেষকদের ধারণা, সুদের হারে कटौती এবং আগামী সময়ে ডলারের দুর্বল হওয়ার সম্ভাবনা সোনার দামকে আবার উপরে নিয়ে যেতে পারে। এমন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে ফেড যদি ঋণের খরচ কম করে, তাহলে সোনার চাহিদা আবার বাড়তে পারে।

আন্তর্জাতিক বাজারের অবস্থা

২০শে অগাস্ট আন্তর্জাতিক বাজারে সোনা ও রূপোর দামে পতন দেখা গেছে। COMEX-এ সোনা ০.০৪ শতাংশ কমে ৩৩৫৭.২০ ডলার প্রতি আউন্সে এসে দাঁড়িয়েছে। রূপোর দাম ০.৪২ শতাংশ কমে ৩৭.১৭৫ ডলার প্রতি আউন্সে পৌঁছেছে। প্ল্যাটিনামও ০.২৬ শতাংশ কমে ১৩০৯.৪০ ডলার প্রতি আউন্সে এসে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে, প্যালাডিয়াম ০.৪০ শতাংশ কমে ১১০৭.৫০ ডলার প্রতি আউন্সে লেনদেন করছে।

Leave a comment