গুগল সার্চের অপব্যবহার করে সাইবার প্রতারকরা মানুষকে ফাঁদে ফেলছে। ভুয়ো লিঙ্ক, বিজ্ঞাপন এবং কাস্টমার কেয়ার নম্বরের মাধ্যমে প্রতারকরা ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত ও ব্যাঙ্কিং তথ্য চুরি করে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব করে দিচ্ছে। সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা মানুষকে এই ধরণের জাল থেকে বাঁচতে পরামর্শ দিয়েছে।
অনলাইন প্রতারণা: ইন্টারনেটে তথ্য খোঁজার জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত প্ল্যাটফর্ম গুগল এখন সাইবার অপরাধীদের প্রতারণার মাধ্যম হয়ে উঠেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সাইবার নিরাপত্তা অভিযান 'সাইবার দোস্ত'-এর তথ্য অনুযায়ী, প্রতারকরা ভুয়ো বিজ্ঞাপন এবং নকল লিঙ্কের মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে ওটিপি (OTP) এবং ব্যাঙ্কিং তথ্য চুরি করছে। বিশেষ করে যখন ব্যবহারকারীরা কাস্টমার কেয়ার নম্বর বা কোনও দোকানের যোগাযোগের জন্য গুগলে সার্চ করে, তখন ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। এই ধরণের ক্ষেত্রে প্রতারণা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছাতে পারে।
অনলাইন প্রতারণা কীভাবে কাজ করে?

সাইবার অপরাধীরা গুগল সার্চ রেজাল্টে ভুয়ো বিজ্ঞাপন এবং লিঙ্ক ঢুকিয়ে ব্যবহারকারীদের প্রতারিত করে। এই বিজ্ঞাপনগুলি দেখতে আকর্ষণীয় হয় এবং ক্লিক করলে সরাসরি বিপজ্জনক ওয়েবসাইটে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য, ব্যাঙ্কের বিবরণ এবং পাসওয়ার্ড পর্যন্ত চুরি করা যেতে পারে।
একইভাবে, অনেক সময় মানুষ কাস্টমার কেয়ার বা কোনও দোকানের নম্বর খুঁজতে গিয়ে গুগলে দেখানো ভুয়ো নম্বরে ফোন করে ফেলে। শিকার কল করার সঙ্গে সঙ্গে, প্রতারকরা প্রতারণার প্রক্রিয়া শুরু করে দেয় এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার পরিস্থিতি তৈরি হয়।
ওটিপি এবং ব্যাঙ্কিং তথ্যের উপরও নজর
সাইবার প্রতারকরা ভুয়ো ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে ওটিপি এবং ব্যাঙ্কিং তথ্য আদায় করে। বিশ্বাসযোগ্য সাইট ভেবে যখন মানুষ তাদের তথ্য নথিভুক্ত করে, তখন প্রতারকরা সেই সুযোগ নিয়ে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ট্রান্সফার করে নেয়।
এই কাজ সহজ করার জন্য প্রতারকরা ব্ল্যাক-হ্যাট এসইও (SEO) এবং পেইড বিজ্ঞাপনের আশ্রয় নেয়। এই কৌশলগুলির মাধ্যমে তাদের ওয়েবসাইটগুলি গুগল সার্চের প্রথম পাতায় দেখা যায় এবং মানুষ সহজেই তাদের জালে ধরা পড়ে যায়।













