জিএসটি কাউন্সিল বৈঠক সাধারণ মানুষের স্বস্তি, সস্তা হচ্ছে একগুচ্ছ জিনিস

জিএসটি কাউন্সিল বৈঠক সাধারণ মানুষের স্বস্তি, সস্তা হচ্ছে একগুচ্ছ জিনিস

বৈঠক শেষে বড় ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর

৫৬তম জিএসটি কাউন্সিল বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করলেন সাধারণ মানুষের স্বার্থে একাধিক জিনিসের দাম কমানো হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে মূল্যবৃদ্ধির চাপ সহ্য করা মধ্যবিত্ত ও সাধারণ ক্রেতাদের স্বস্তি দিতে জিএসটির হার পুনর্বিবেচনা করে বড় সিদ্ধান্ত নিল সরকার।

দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসে জিএসটি কমানো

সাধারণ ব্যবহার্য জিনিস যেমন মাথার তেল, টয়লেট সাবান, সাবান বার, শ্যাম্পু, টুথব্রাশ, টুথপেস্ট, সাইকেল, কিচেনওয়্যার এবং অন্যান্য গৃহস্থালী সামগ্রীর উপর জিএসটি কমিয়ে ৫% করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রতিদিনের বাজারে যেসব পণ্য কিনতে হয়, সেগুলি আগের তুলনায় সস্তা হবে। ফলে গৃহিণী থেকে শুরু করে সাধারণ পরিবার, সকলের খরচ কিছুটা হলেও কমবে।

শূন্য জিএসটি: খাদ্যপণ্যে বড় স্বস্তি

দুগ্ধজাত সামগ্রী, ছানা এবং পনিরের উপর থেকে কর পুরোপুরি তুলে নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সমস্ত রুটি ও পরোটাতেও আর কোনও জিএসটি দিতে হবে না। অর্থাৎ সাধারণ খাবারের ঝুড়ি এখন আরও সস্তা হতে চলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপ সরাসরি মধ্যবিত্ত পরিবার এবং গ্রামীণ অর্থনীতিকে স্বস্তি দেবে।

স্ন্যাক্স ও জনপ্রিয় খাবারে জিএসটি হ্রাস

আগে যেসব খাবারের উপর ১২% বা ১৮% কর ধার্য করা ছিল, সেগুলির উপর জিএসটি এখন মাত্র ৫%। নোনতা খাবার, ভুজিয়া, সস, পাস্তা, ইনস্ট্যান্ট নুডলস, চকলেট, কফি, সংরক্ষিত মাংস, কর্নফ্লেক্স, মাখন, ঘি—সব ক্ষেত্রেই এই ছাড় মিলবে। শহরের তরুণ প্রজন্ম থেকে শুরু করে ছোট থেকে বড় সকলের খাদ্য তালিকায় এই খাবারগুলি জায়গা করে নিয়েছে। ফলে এই ঘোষণায় আনন্দিত হবেন ক্রেতারা।

দাম কমছে ইলেকট্রনিক জিনিসেরও

শুধু খাবারদাবার নয়, এবার সস্তা হতে চলেছে একাধিক ইলেকট্রনিক ও গৃহস্থালির যন্ত্রপাতি। আগে ২৮% কর দিতে হতো, তা নামিয়ে আনা হয়েছে ১৮% এ। এর মধ্যে রয়েছে এয়ার কন্ডিশনিং মেশিন, ৩২ ইঞ্চির বেশি টিভি (এখন সমস্ত টিভির উপরই ১৮% জিএসটি), ডিশওয়াশিং মেশিন, ছোট গাড়ি এবং ৩৫০ সিসি বা তার কম মোটরসাইকেল। ফলে সাধারণ পরিবার থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত ক্রেতারা এই সিদ্ধান্তের সুফল পাবেন।

অর্থনীতিতে প্রভাব ও ভবিষ্যৎ বার্তা

অর্থনীতিবিদদের মতে, জিএসটি হার কমানোর ফলে একদিকে ক্রেতারা উপকৃত হবেন, অন্যদিকে বাজারে চাহিদা বাড়বে। ফলে উৎপাদক এবং খুচরো ব্যবসায়ীরাও লাভবান হবেন। সরকারের বার্তা স্পষ্ট—‘মধ্যবিত্তের পাশে আছে কেন্দ্র’। এই পদক্ষেপে আগামী দিনে উৎসব মরশুমে বাজারে আরও গতি আসবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

Leave a comment