কেন্দ্র সরকার জিএসটি কাঠামোকে সরলীকরণের অংশ হিসেবে এখন কেবল দুটি স্ল্যাব, ৫ শতাংশ এবং ১৮ শতাংশ, চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কৃষকরা এই পরিবর্তনের স্বাগত জানিয়েছেন এবং বলেছেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই পদক্ষেপ খরচ কমাতে এবং ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে সহায়ক হবে।
যোধপুর সংবাদ: কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার কৃষক ও সাধারণ ভোক্তাদের স্বস্তি দেওয়ার লক্ষ্যে জিএসটি হারে একটি বড় সংস্কার করেছে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৫৬তম জিএসটি পরিষদ বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে এখন কেবল দুটি প্রধান কর হার, ৫ শতাংশ এবং ১৮ শতাংশ, প্রযোজ্য হবে। কৃষকরা এই সিদ্ধান্তকে একটি প্রশংসনীয় পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেছেন কারণ এটি কৃষি কাজের খরচ কমাবে এবং বাজারে পণ্য সস্তা করবে।
জিএসটিতে বড় পরিবর্তন: কৃষি সরঞ্জামে কর হ্রাস
কেন্দ্র সরকার কৃষি খাতের সাথে সম্পর্কিত যন্ত্রপাতি এবং সরঞ্জামগুলিতে জিএসটি হার কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছে। এর ফলে কৃষকদের খরচ কমবে এবং তারা আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির সুবিধা সহজে লাভ করতে পারবে।
যোধপুরের কৃষক তুলছाराम সিভার বলেছেন যে আগে যন্ত্রপাতির উপর বেশি জিএসটি লাগা এবং ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট না পাওয়ার কারণে তাদের ক্ষতি সহ্য করতে হতো। এখন এই পরিবর্তন কৃষকদের সরাসরি স্বস্তি দেবে এবং আধুনিক চাষ পদ্ধতি গ্রহণে সহায়ক হবে।
জৈব ফসল এবং ড্রিপ ইরিগেশনকে উৎসাহ
কৃষকদের মতে, এই সিদ্ধান্তের ফলে জৈব চাষকে উৎসাহ দেওয়া হবে এবং চাষ টেকসই হবে। বিশেষ করে পশ্চিম রাজস্থানের মতো জল সংকটাপন্ন অঞ্চলে ড্রিপ ইরিগেশন প্রযুক্তির মাধ্যমে কম জল ব্যবহার করেও বেশি ফলন সম্ভব হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কর হ্রাসের ফলে স্বাস্থ্যকর এবং বিষমুক্ত ফসল উৎপাদনকেও উৎসাহ দেওয়া হবে। এই পদক্ষেপ কৃষিকে ভবিষ্যতের জন্য আরও শক্তিশালী এবং লাভজনক করে তুলবে।
কৃষকরা সরকারের সিদ্ধান্তের স্বাগত জানিয়েছে
সরকারের এই সিদ্ধান্তে কৃষকদের মধ্যে উৎসাহ দেখা দিয়েছে এবং তারা একে 'কৃষক-বান্ধব পদক্ষেপ' হিসেবে অভিহিত করেছেন। কৃষকদের মতে, এই পরিবর্তন চাষকে সস্তা ও লাভজনক করার পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তি গ্রহণেও সহায়তা করবে।
তুলছाराम সিভার এবং অন্যান্য কৃষক নেতারা বলেছেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্র সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে কৃষি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে এবং কৃষকরা দীর্ঘমেয়াদী লাভবান হতে পারবে।