गुजरात के मुख्यमंत्री भूपेंद्र प্যাটেলের নতুন মন্ত্রিসভা আজ শপথ নেবে। গান্ধীনগরের মহাত্মা মন্দিরে অনুষ্ঠিতব্য অনুষ্ঠানে রীভাবা জাদেজা সহ একাধিক নতুন মুখ মন্ত্রী হতে পারেন। বিজেপি ২০২৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে নতুন রণনীতি নিয়ে কাজ করছে।
Gujarat Cabinet 2025: আজ গুজরাটের রাজনীতিতে একটি বড় দিন। মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল (Bhupendra Patel)-এর নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ আজ সকাল ১১টায় গান্ধীনগরের মহাত্মা মন্দিরে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রত নতুন মন্ত্রীদের পদ ও গোপনীয়তার শপথ বাক্য পাঠ করাবেন। বিজেপি (BJP) ২০২৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির কথা মাথায় রেখে এই বড় পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সকল মন্ত্রী পদত্যাগ করেছিলেন
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী আবাসে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর, মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল ছাড়া পুরো মন্ত্রিসভা একযোগে পদত্যাগ করেছিল। এই পদক্ষেপে গোটা রাজ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা বেড়ে যায়। তবে, এই পদক্ষেপকে সম্পূর্ণভাবে সাংগঠনিক কৌশলের অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। সূত্র অনুযায়ী, বিজেপি চায় নতুন মুখ এবং তরুণ নেতৃত্বকে সামনে নিয়ে আসা হোক, যাতে জনগণের মধ্যে নতুন শক্তি ও বিশ্বাস স্থাপন করা যায়।
বিজেপির কৌশল: ২০২৭ বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি
গুজরাট বিজেপির এই পদক্ষেপ কেবল প্রশাসনিক নয়, এটি একটি রাজনৈতিক কৌশলেরও অংশ। দল ২০২৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য এখন থেকেই নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। রাজ্যের অনেক অঞ্চলে বিরোধী দলগুলি, বিশেষ করে আম আদমি পার্টি (AAP), তাদের প্রভাব বাড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বিজেপি সৌরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ গুজরাটের মতো অঞ্চলে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে নতুন মুখদের অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে।
২৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা হতে পারে
ভূপেন্দ্র প্যাটেলের নতুন মন্ত্রিসভায় মোট ২৭ জন সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করার সম্ভাবনা রয়েছে। এবারের সম্প্রসারণে সৌরাষ্ট্র অঞ্চলকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। দলের অভ্যন্তরে আলোচনা চলছে যে সৌরাষ্ট্রে আম আদমি পার্টির ক্রমবর্ধমান প্রভাবের পরিপ্রেক্ষিতে সেখানকার জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী নেতাদের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
এই ৪-৫ জন মন্ত্রী আবার সুযোগ পেতে পারেন
যদিও পুরো মন্ত্রিসভা পদত্যাগ করেছে, তবে ৪ থেকে ৫ জন পুরনো মন্ত্রীকে পুনরায় সুযোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দলের সূত্র অনুযায়ী, কিছু সিনিয়র এবং অভিজ্ঞ নেতাকে পুনরায় দায়িত্ব দেওয়া হবে যাতে প্রশাসনিক ধারাবাহিকতা বজায় থাকে।
মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন এই নামগুলি
নতুন মন্ত্রিসভায় অনেক পুরনো ও নতুন মুখের অন্তর্ভুক্তির কথা আলোচনায় রয়েছে। এর মধ্যে সৌরাষ্ট্র ও দক্ষিণ গুজরাট থেকে শুরু করে উত্তর গুজরাট পর্যন্ত নেতাদের নাম উঠে এসেছে।
সম্ভাব্য মন্ত্রীদের তালিকায় এই নামগুলি আলোচনায় রয়েছে –
- জয়েশ রাদাদিয়া: সৌরাষ্ট্র অঞ্চলের জনপ্রিয় নেতা, যাকে আঞ্চলিক ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে।
- শঙ্কর চৌধুরী: সংগঠনের শক্তিশালী নেতা, যাকে প্রশাসনিক অভিজ্ঞতার জন্য পুনরায় সুযোগ দেওয়া হতে পারে।
- উদয় কাংড়: দলে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় নেতা, উন্নয়ন কাজের জন্য পরিচিত।
- অমিত ঠাকুর: তরুণ মুখ, সংগঠনে সক্রিয় ভূমিকার কারণে তাকেও মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া যেতে পারে।
- অমিত পোপটলাল শাহ: আহমেদাবাদ থেকে আসা প্রভাবশালী নেতা, দলে গুরুত্বপূর্ণ স্থান রাখেন।
হীরা সোলাঙ্কি, মহেশ কাসওয়ালা, কৌশিক ভেকড়িয়া, রীভাবা জাদেজা, অর্জুন মোধওয়াদিয়া – এই সমস্ত নাম নিয়েও দল আলোচনা করেছে।
রীভাবা জাদেজার দিকে সকলের নজর
এই সম্প্রসারণে সবচেয়ে বেশি আলোচনা ভারতীয় ক্রিকেটার রবীন্দ্র জাদেজার স্ত্রী রীভাবা জাদেজা (Rivaba Jadeja) কে নিয়ে। রীভাবা ২০২২ সালে প্রথমবার বিধায়ক হয়েছিলেন এবং তার শক্তিশালী জনসমর্থন রয়েছে। দল তাকে নারী ক্ষমতায়ন ও তরুণ নেতৃত্বের প্রতীক হিসেবে সামনে আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে। মনে করা হচ্ছে যে রীভাবাকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করলে বিজেপির সৌরাষ্ট্র অঞ্চলে লাভ হতে পারে।
এই বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দিকেও নজর থাকতে পারে
- অনিরুদ্ধ দাভে (মান্ডবী-কচ্ছ)
- সন্দীপ দেসাই (চোর্যাসি)
- সঙ্গীতা পাটিল (লিম্বায়াত)
- পঙ্কজ দেসাই (নাদিয়াদ)
এছাড়াও, কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে আসা নেতাদের উপরও দলের আস্থা বেড়েছে। অল্পেশ ঠাকুর, হার্দিক প্যাটেল এবং সি.জে. চাওড়াও মন্ত্রী পদ পেতে পারেন। এর মাধ্যমে দল এই বার্তা দিতে চায় যে সংগঠনে পুরনো এবং নতুন উভয় নেতার জন্যই সমান সুযোগ রয়েছে।
সৌরাষ্ট্র অঞ্চলের উপর বিশেষ মনোযোগ
গুজরাটের রাজনৈতিক সমীকরণে সৌরাষ্ট্র অঞ্চলের ভূমিকা সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বিগত কিছু নির্বাচনে এই অঞ্চলে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। আম আদমি পার্টির উত্থানের পর এখানকার ভোট ব্যাংক বিভক্ত হতে শুরু করেছিল। এমন পরিস্থিতিতে দল এখন সৌরাষ্ট্র থেকে প্রভাবশালী নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করে এই অঞ্চলে তাদের জনভিত্তি আবার শক্তিশালী করতে চাইছে।
জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের উপর জোর
নতুন মন্ত্রিসভার কাছ থেকে আশা করা হচ্ছে যে এটি জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করবে। মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল নিজেই একাধিকবার বলেছেন যে তার সরকারের মনোযোগ "জনসেবা এবং উন্নয়ন" (public service and development) এর উপর থাকবে। নীতিগুলিকে মাঠ পর্যায়ে কার্যকর করা এবং যুবকদের আরও বেশি সুযোগ দেওয়া এই মন্ত্রিসভার প্রধান এজেন্ডা হবে।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান
মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান গান্ধীনগরের মহাত্মা মন্দিরে আজ সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে। রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন এবং নতুন মন্ত্রীদের পদ ও গোপনীয়তার শপথ বাক্য পাঠ করাবেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল, সিনিয়র বিজেপি নেতা, সংগঠনের পদাধিকারী এবং অনেক প্রশাসনিক আধিকারিক উপস্থিত থাকবেন।