লখনউ-আগ্রা এক্সপ্রেসওয়েতে পুলিশ এক লাখ টাকার ইনামী অপরাধী গুরুসেবককে এনকাউন্টারে খতম করেছে। সে ক্যাব চালক যোগেশ পাল এবং ট্রাভেলার চালক অবনীশের হত্যা ও লুটের মূল অভিযুক্ত ছিল।
লখনউ: পুলিশ লখনউ-আগ্রা এক্সপ্রেসওয়েতে এক লাখ টাকার ইনামী অপরাধী গুরুসেবককে এনকাউন্টারে খতম করেছে। গুরুসেবকের উপর এক লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল এবং সে ক্যাব চালক যোগেশ পাল এবং ট্রাভেলার চালক অবনীশের হত্যা ও লুটের মামলায় ওয়ান্টেড ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে যে পাল্টা গুলিতে গুরুসেবক গুলিবিদ্ধ হয় এবং তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা মৃত ঘোষণা করেন। তার কাছ থেকে একটি পিস্তল, একটি রিভলভার এবং একটি আর্টিকা গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। এটি লখনউ পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ এবং পারা থানার দলের যৌথ অভিযান ছিল।
লখনউ-আগ্রা এক্সপ্রেসওয়েতে এনকাউন্টার
রবিবার রাতে লখনউ-আগ্রা এক্সপ্রেসওয়ের জিরো পয়েন্টে গাড়ির রুটিন চেকিংয়ের সময় পুলিশের নজর গুরুসেবকের উপর পড়ে। পুলিশ তাকে থামানোর চেষ্টা করে, কিন্তু অপরাধী তৎক্ষণাৎ পুলিশের উপর গুলি চালানো শুরু করে।
পুলিশের দ্রুত এবং প্রশিক্ষিত দলটি পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করে। গুলি বিনিময়ের সময় গুরুসেবক গুরুতর আহত হয় এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। এই এনকাউন্টার পুলিশের সতর্কতা এবং তৎপরতার একটি উদাহরণ।
হত্যা ও লুটের ঘটনায় জড়িত
গুরুসেবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে সে ক্যাব চালক যোগেশ পালকে হত্যা করে এবং তার গাড়ি লুট করে। এছাড়াও, শাহজাহানপুরে ট্রাভেলার চালক অবনীশের হত্যাতেও তার নাম উঠে এসেছিল।
পুলিশ ইতিমধ্যেই গুরুসেবকের দুই সহযোগীকে সংঘর্ষে গ্রেফতার করেছিল। এখন গুরুসেবকের এনকাউন্টারের ফলে পুলিশের তদন্ত আরও শক্তিশালী হয়েছে এবং সম্ভাব্য অন্যান্য অভিযুক্তরাও শীঘ্রই ধরা পড়তে পারে।
পুলিশের উপর গুলি ও পাল্টা ব্যবস্থা
গুরুসেবক পুলিশের উপর গুলি চালিয়েছিল, যার ফলে ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে। পুলিশ অবিলম্বে পাল্টা ব্যবস্থা নেয় এবং অপরাধীকে গুরুতর আহত করে।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে গুরুসেবকের কাছ থেকে অস্ত্র এবং লুটের গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনা পুলিশের কঠোর এবং দ্রুত পদক্ষেপকে তুলে ধরে এবং অপরাধীদের জন্য একটি সতর্কবার্তাও বটে।