ভারতে বর্ষার প্রভাব বেড়েছে। উত্তর প্রদেশের ২২টি জেলা বন্যায় কবলিত, গঙ্গা ও যমুনা নদীর জলস্তর বেড়েছে। জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচল, উত্তরাখণ্ড এবং উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে প্রবল বৃষ্টিপাত চলছে। মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক এবং কেরালার উপকূলীয় এলাকাতেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বৃষ্টির সতর্কতা: দেশজুড়ে বর্ষার দাপট অব্যাহত এবং উত্তর প্রদেশের ২২টি জেলা বন্যায় প্লাবিত। গঙ্গা ও যমুনা নদীর জলস্তর ক্রমাগত বাড়ছে, যার কারণে স্থানীয় প্রশাসন ও বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগ সম্পূর্ণরূপে সতর্ক রয়েছে। ভারতীয় আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগ (আইএমডি) বুধবার সারা দেশে প্রবল ও একটানা বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে।
আবহাওয়া দফতর জনগণের কাছে আবেদন জানিয়েছে, খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যেন তারা বাড়ির বাইরে না বের হন এবং নদীর ধার, পুল ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকেন। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অনেক রাজ্যে ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যার ফলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হতে পারে এবং সড়ক, রেল ও জল পরিবহন পরিষেবাতে বাধা আসতে পারে।
জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা
জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখে সকাল থেকে একটানা বৃষ্টি চলছে। জম্মু জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ সেন্টিমিটার এবং কাটরাতে ২৮ সেন্টিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডেও প্রবল বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া দফতর সতর্ক করে জানিয়েছে যে, এই অঞ্চলগুলোতে সড়কপথ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং পার্বত্য এলাকায় ভূমিধসের ঝুঁকি রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন জরুরি ব্যবস্থা নিয়েছে এবং জনগণকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উত্তর-পূর্ব, বিহার ও বাংলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা
পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, আসাম এবং অন্যান্য উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এই রাজ্যগুলোতে নদীর ধারে বসবাসকারী মানুষ, কৃষক ও সাধারণ জনগণের সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
উত্তর প্রদেশের ২২টি জেলা বন্যায় কবলিত এবং গঙ্গা ও যমুনা নদীর জলস্তর ক্রমাগত বাড়ছে। মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়েও আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টির কারণে সতর্কতা অবলম্বন করার প্রয়োজন রয়েছে। বিশেষ করে ছত্তিশগড়ের নিম্নাঞ্চলে জলমগ্নতা এবং জরুরি অবস্থার ঝুঁকি বেড়েছে।
কোঙ্কন ও পশ্চিম ভারতে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা
কোঙ্কন ও মধ্য মহারাষ্ট্রে আগামী ২৪ ঘণ্টায় অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এছাড়াও গোয়া এবং পার্শ্ববর্তী উপকূলীয় এলাকাগুলোতেও জলমগ্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজস্থান ও গুজরাটের অনেক অংশেও বৃষ্টির প্রভাব দেখা যাবে। আবহাওয়া দফতর সতর্ক করে জানিয়েছে যে, ভারী বৃষ্টির কারণে সড়ক ও পরিবহন পরিষেবাতে অসুবিধা হতে পারে, তাই স্থানীয় লোকেদের সতর্ক থাকার এবং প্রশাসন কর্তৃক জারি করা নির্দেশাবলী অনুসরণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ ভারতের উপকূলীয় এলাকায় ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা
কেরালা, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা এবং অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলীয় এলাকাতেও প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে কর্ণাটক ও কেরালার উপকূলীয় অংশে ভারী বর্ষণের কারণে জল জমা, রাস্তা অবরোধ এবং বন্যার ঝুঁকি রয়েছে।
আবহাওয়া দফতর সতর্ক করে জানিয়েছে যে, এই অঞ্চলগুলোতে সড়ক পথে যাত্রা, নদী পারাপার এবং উপকূলীয় এলাকার মৎস্যজীবীদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে। প্রশাসন ও বিপর্যয় মোকাবিলা দল ক্রমাগত অ্যালার্ট মোডে কাজ করছে।