মেরঠ থেকে অযোধ্যা ও বারাণসীর বন্দে ভারত এক্সপ্রেস: তীর্থযাত্রীদের জন্য নতুন দিগন্ত

মেরঠ থেকে অযোধ্যা ও বারাণসীর বন্দে ভারত এক্সপ্রেস: তীর্থযাত্রীদের জন্য নতুন দিগন্ত

মেরঠ থেকে অযোধ্যা এবং বারাণসীর জন্য বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলাচল শুরু হয়ে গেছে। ট্রেনটি দ্রুত গতিতে যাত্রা করবে। চেয়ারকার এবং এগজিকিউটিভ কোচে আসন উপলব্ধ রয়েছে। তীর্থযাত্রীদের জন্য সুবিধা এবং সময় সাশ্রয় নিশ্চিত হবে।

Vande Bharat: মেরঠ থেকে অযোধ্যা এবং বারাণসীর জন্য বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের পরিষেবা বুধবার থেকে শুরু হয়েছে। রাজ্যসভার সদস্য ডঃ লক্ষ্মীকান্ত বাজপেয়ী সকাল ৬:৩৫ মিনিটে ট্রেনটিকে সবুজ পতাকা নেড়ে যাত্রা শুরু করান। এই ট্রেনটি বিশেষভাবে সেই সকল তীর্থযাত্রীদের জন্য স্বস্তির কারণ হয়েছে, যারা রাম মন্দির এবং বাবা বিশ্বনাথ মন্দিরের দর্শনের জন্য যাত্রা করতে চান। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস আগে শুধুমাত্র লখনউ পর্যন্ত চলত, কিন্তু এখন এটিকে পূর্বাঞ্চলের প্রধান তীর্থস্থান অযোধ্যা এবং বারাণসী পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

এই নতুন ট্রেন পরিষেবা শুরুর ফলে মেরঠ এবং আশেপাশের জেলার মানুষদের জন্য ধর্মীয় যাত্রা ও পর্যটন সহজ হয়ে গিয়েছে। আগে মেরঠ থেকে অযোধ্যা বা বারাণসী পর্যন্ত সরাসরি কোনো দ্রুতগতির ট্রেন ছিল না। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে এখন তীর্থস্থানগুলিতে পৌঁছাতে সময় সাশ্রয় হবে এবং যাত্রা আরও আরামদায়ক হবে।

বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের বুকিং

প্রথম দিন অর্থাৎ ২৯শে আগস্ট এই ট্রেনে সবচেয়ে বেশি বুকিং হয়েছে। চেয়ারকার শ্রেণীতে মোট ২৯১টি আসন বুক হয়েছে এবং এগজিকিউটিভ কোচ সম্পূর্ণরূপে ভর্তি হয়ে গেছে। যাত্রীদের এই বিপুল সংখ্যা ইঙ্গিত দেয় যে, ধর্মীয় উৎসাহ এবং পর্যটনের চাহিদা এই দ্রুতগতির ট্রেনের জন্য কতটা বেশি ছিল।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ট্রেনে চেয়ারকার শ্রেণীতে মোট ৪৭৮টি আসনের মধ্যে ২৮১টি আসন আগেই বুক হয়ে গিয়েছিল, যেখানে ১৯৭টি আসন খালি ছিল। এগজিকিউটিভ শ্রেণীতে ৫২টি আসনের মধ্যে ২৭টি বুক ছিল। অধিকাংশ যাত্রী প্রথমে অযোধ্যা যাবেন এবং তারপরের দিন বারাণসীর যাত্রা এই ট্রেনের মাধ্যমেই করবেন।

এভাবে প্রথম দিনেই যাত্রীরা নতুন ট্রেন পরিষেবাটিকে ভালোভাবে গ্রহণ করেছেন এবং এর জনপ্রিয়তা সম্পর্কে ধারণা করা যেতে পারে।

ট্রেনের পথ এবং সময়সূচী

বন্দে ভারত এক্সপ্রেস মেরঠ থেকে অযোধ্যার দূরত্ব ৫৮৬ কিলোমিটার এবং বারাণসীর দূরত্ব ৭৮২ কিলোমিটার অতিক্রম করে। মেরঠ থেকে অযোধ্যা পৌঁছাতে এই সেমি হাই স্পীড ট্রেনের ৯ ঘন্টা ১৮ মিনিট এবং বারাণসী পৌঁছাতে ১১ ঘন্টা ৫০ মিনিট সময় লাগবে।

এর আগে ট্রেনটি লখনউ পর্যন্ত চলত, কিন্তু এখন এটিকে অযোধ্যা এবং বারাণসী পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে পূর্বাঞ্চল এবং পশ্চিম উত্তর প্রদেশের মধ্যে তীর্থযাত্রী ও অন্যান্য যাত্রীদের জন্য যাত্রা আরও সুবিধাজনক এবং দ্রুত হবে।

সময়ে পরিবর্তন এবং ট্রেনের সুবিধা

২৭শে আগস্ট থেকে বন্দে ভারত ট্রেনের লখনউ থেকে মেরঠের উদ্দেশ্যে ছাড়ার সময়ও পরিবর্তন করা হয়েছে। আগে ট্রেনটি লখনউ থেকে ২:৪৫ মিনিটে ছাড়ত, এখন এই সময় ১:৫০ নির্ধারণ করা হয়েছে। ট্রেনটি রাত ১০টায় মেরঠ পৌঁছাত, এখন এটি রাত ৯:০৫ মিনিটে মেরঠ সিটি স্টেশনে পৌঁছাবে।

ট্রেনের সুবিধাগুলির মধ্যে আধুনিক এগজিকিউটিভ এবং চেয়ারকার কোচ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যাত্রীরা আরামদায়ক সিটিং, খাবার-পানির সুবিধা এবং সুরক্ষিত যাত্রার অভিজ্ঞতা পাবেন। এই হাই স্পীড ট্রেনটি ধর্মীয় এবং বাণিজ্যিক উভয় প্রকার ভ্রমণের জন্য উন্নত বিকল্প প্রমাণ হবে।

Leave a comment