প্রেমের জেরে স্ত্রীকে কাঁচি দিয়ে খুন, পালাল স্বামী

প্রেমের জেরে স্ত্রীকে কাঁচি দিয়ে খুন, পালাল স্বামী

बहेड़ी थाना এলাকার बघौनी গ্রামে স্বামী লালবাবু দাস তার স্ত্রী সুচিত্রা দেবীকে কাঁচি দিয়ে খুন করেছে। ঘটনাটি প্রেমের সম্পর্কের বিরোধিতার কারণে ঘটে। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।

বঘৌনি: বহেড়ি থানা এলাকার বঘৌনি গ্রামে এক উন্মত্ত স্বামী লালবাবু দাস কাঁচি দিয়ে আঘাত করে তার স্ত্রী সুচিত্রা দেবীকে খুন করেছে। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে, স্ত্রীর গ্রামের এক যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল, যা লালবাবু মেনে নিতে পারছিল না এবং এটাই ছিল খুনের কারণ।

বহেড়ি থানার ওসি সুরজ গুপ্ত জানিয়েছেন যে, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ডিএমসিএইচ-এ পাঠানো হয়েছে এবং এফএসএল টিমকে ডেকে ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করা হচ্ছে।

গ্রামের যুবকের সাথে সুচিত্রার প্রেমই বিবাদের মূল কারণ

গ্রামবাসীদের মতে, সুচিত্রার গ্রামের এক যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। লালবাবু এই সম্পর্কের বিরোধী ছিল এবং তাদের মধ্যে প্রায়শই বিবাদ ও মারপিট হত। এই কারণে বাড়িতে সবসময় উত্তেজনা লেগে থাকত।

এই মাসে ২৬শে আগস্ট সুচিত্রা হঠাৎ তার তিন বছরের মেয়ে সৃষ্টিকে নিয়ে প্রেমিকের কাছে দিল্লিতে পালিয়ে গিয়েছিল। লালবাবু এই খবর জানার পরদিনই দিল্লিতে রওনা হয়, যাতে সে তার স্ত্রীকে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে পারে।

লালবাবু তার স্ত্রীকে খুন করেছে

সূত্র মতে, যখন লালবাবু দিল্লিতে পৌঁছায়, ততক্ষণে সুচিত্রা শনিবার ৩০শে আগস্ট তার বাড়িতে ফিরে এসেছিল। রবিবার লালবাবু বাড়ি ফিরে এসেই কাঁচি দিয়ে আক্রমণ করে তার স্ত্রীকে খুন করে। আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে স্ত্রীর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। ঘটনার পর দ্রুত পুলিশকে খবর দেওয়া হয় এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে। অভিযুক্ত স্বামীকে তৎক্ষণাৎ গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে

বহেড়ি থানার ওসি সুরজ গুপ্ত জানিয়েছেন যে, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ফরেনসিক টিমকে ডেকে ঘটনাস্থল থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে, খুনের মূল কারণ প্রেমের সম্পর্ক এবং পারিবারিক বিবাদ।

থানা প্রশাসন জানিয়েছে যে, মৃতের বাপের বাড়ি থেকে আবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পুলিশ সম্পূর্ণ সক্রিয় রয়েছে এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।

খুনের ঘটনায় গ্রামে শোক ও উদ্বেগ

গ্রামবাসী এবং মৃতের পরিবারের সদস্যরা এই ঘটনায় হতবাক। সুচিত্রার পাঁচ বছর আগে লালবাবুর সাথে বিয়ে হয়েছিল এবং তাদের একটি তিন বছরের সন্তান আছে। গ্রামবাসীদের মতে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে প্রায়শই বিবাদ ও মারপিট হত, তবে এই খুন পুরো এলাকার জন্য একটি মর্মান্তিক ও দুঃখজনক ঘটনা।

Leave a comment