সিডিএস জেনারেল অনিল চৌহান মহুতে 'রণ संवाद' সম্মেলনে ভবিষ্যতের যুদ্ধের জন্য হাইব্রিড যোদ্ধাদের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন। এই যোদ্ধারা অস্ত্র ও শাস্ত্র উভয় ক্ষেত্রেই পারদর্শী হবেন এবং সব পরিস্থিতিতে মোকাবিলা করতে সক্ষম হবেন।
Mahoo: মধ্যপ্রদেশের মহুতে আয়োজিত 'রণ संवाद' সম্মেলনের সমাপ্তি অধিবেশনে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (CDS) জেনারেল অনিল চৌহান ভবিষ্যতে যুদ্ধ লড়ার জন্য হাইব্রিড যোদ্ধাদের (Hybrid Warriors) প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। তিনি বলেন যে এই যোদ্ধারা সব ধরনের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকবেন, তা সে বর্ডারে হোক, শহুরে এলাকায় সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান হোক বা সাইবার যুদ্ধ।
জেনারেল চৌহান তাঁর ভাষণে বলেন, "ভবিষ্যতের যুদ্ধ জিততে গেলে 'শাস্ত্র' ও 'শস্ত্র' উভয়ের জ্ঞান থাকা জরুরি। আমাদের এমন যোদ্ধাদের প্রয়োজন, যারা প্রতিটি পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে সক্ষম।" তিনি আরও বলেন যে যুদ্ধ এবং শান্তি উভয়ের জন্যই প্রস্তুতি নেওয়া আবশ্যক।
CDS যুদ্ধ কৌশলে সময়ের সাথে পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন
'রণ संवाद' সম্মেলনের শেষ দিনে CDS জানান যে যুদ্ধের কৌশল এবং প্রযুক্তিতে ক্রমাগত পরিবর্তন হচ্ছে এবং এগুলো গ্রহণ করা বাধ্যতামূলক। তিনি বলেন যে ভারত শান্তির পক্ষে, তবে শান্তি বজায় রাখার জন্য সর্বদা যুদ্ধের প্রস্তুতি এবং সতর্কতা বজায় রাখা উচিত।
তিনি আরও বলেন, "রণ संवाद-এর দুই দিনে আমরা দেখেছি যে যুদ্ধ এবং যুদ্ধ করার পদ্ধতি দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। আমাদের সেনাবাহিনীকে এই পরিবর্তনগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে, যাতে আমরা প্রতিটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারি এবং বিজয় নিশ্চিত করতে পারি।"
হাইব্রিড যোদ্ধা কেমন হবেন?
জেনারেল চৌহান জানান যে হাইব্রিড যোদ্ধারা কেবল ঐতিহ্যবাহী যুদ্ধেই সক্ষম হবেন না, তাঁদের ড্রোন নিষ্ক্রিয় করতে, সাইবার অনুপ্রবেশ ডিকোড করতে, মরুভূমি এবং শহুরে অঞ্চলে যুদ্ধাভিযান করতেও পারদর্শী হতে হবে।
তিনি বলেন, "ভবিষ্যতের যুদ্ধে কেবল অস্ত্রের জ্ঞান দিয়ে কাজ চলবে না। 'শাস্ত্র' অর্থাৎ কৌশল, পরিকল্পনা এবং প্রযুক্তির জ্ঞানও জরুরি। এটাই হাইব্রিড যোদ্ধার শক্তি হবে।"
রাজনাথ সিং 'রণ संवाद'-এর তাৎপর্য তুলে ধরেন
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং সম্মেলনের নামের তাৎপর্যের উপর জোর দিয়ে বলেন যে যুদ্ধ এবং আলোচনা উভয়ই আমাদের সংস্কৃতির অংশ। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন যে মহাভারতেও কৃষ্ণ শান্তি দূত হয়ে গিয়েছিলেন।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, 'আমাদের সংস্কৃতিতে আলোচনা কখনওই যুদ্ধ থেকে আলাদা নয়। এটা যুদ্ধের আগে হয়, যুদ্ধের সময় চলতে থাকে এবং যুদ্ধের পরেও জারি থাকে। এটি আমাদের শেখায় যে শান্তি এবং যুদ্ধের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।'