২০৩০ কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনের দৌড়ে ভারত, মন্ত্রিসভার অনুমোদন

২০৩০ কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনের দৌড়ে ভারত, মন্ত্রিসভার অনুমোদন

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ২০৩০ সালের কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনের জন্য দরপত্র জমা দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রক এই প্রস্তাব পেশ করেছিল, যা মন্ত্রিসভা কর্তৃক গৃহীত হয়েছে।

স্পোর্টস নিউজ: কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ২০৩০ সালের কমনওয়েলথ গেমসের জন্য ভারতের দাবিকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রক কর্তৃক পেশ করা প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে আহমেদাবাদ, গুজরাটকে আয়োজক হিসাবে নির্বাচিত করা হয়েছে, যা এর জন্য আদর্শ স্থান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

আহমেদাবাদ: বিশ্বমানের ক্রীড়া কেন্দ্র

আহমেদাবাদকে ২০৩০ সালের কমনওয়েলথ গেমসের জন্য বেছে নেওয়ার পিছনে এর উন্নত অবকাঠামো এবং অত্যাধুনিক স্টেডিয়াম প্রধান কারণ। শহরটিতে অবস্থিত নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম বিশ্বের বৃহত্তম স্টেডিয়ামগুলির মধ্যে অন্যতম এবং এখানে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩-এর ফাইনাল ম্যাচও অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়াও, শহরটিতে অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ সুবিধা, পরিবহন ব্যবস্থা এবং ক্রীড়া বিজ্ঞান কেন্দ্র উপলব্ধ রয়েছে, যা এটিকে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ইভেন্টের জন্য আদর্শ করে তোলে।

কমনওয়েলথ গেমসে প্রায় ৭২টি দেশের ক্রীড়াবিদ অংশ নেবেন, যা বিশ্ব মঞ্চে ভারতের ক্রীড়া ও পর্যটন সম্ভাবনাকে তুলে ধরবে। কমনওয়েলথ গেমসের মতো বড় ক্রীড়া ইভেন্ট কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করবে। খেলাধুলা ছাড়াও আয়োজন পরিচালনা, রসদ ও পরিবহন সমন্বয়, সম্প্রচার ও মিডিয়া, তথ্য প্রযুক্তি, জনসংযোগ এবং যোগাযোগের মতো ক্ষেত্রগুলিতে শত শত পেশাদার সুযোগ পাবেন।

তরুণ ক্রীড়াবিদদের জন্যও এই আয়োজন অনুপ্রেরণার উৎস হবে, যা তাঁদের খেলাধুলাকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে উৎসাহিত করবে। এছাড়াও, ক্রীড়া বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনার ছাত্ররাও ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পাবে।

ভারতের অভিজ্ঞতা: ২০১০ সালের উদাহরণ

এই আয়োজন শুধু খেলাধুলাই নয়, জাতীয় গৌরব ও ঐক্যের চেতনাকেও আরও শক্তিশালী করবে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন, যা জাতির মনোবল বৃদ্ধি করবে।

  • খেলার মাধ্যমে যুবকদের অনুপ্রাণিত করা হবে।
  • সব স্তরে খেলার অংশগ্রহণ বাড়বে।
  • খেলার প্রতি জনগণের সচেতনতা বাড়বে।

কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের প্রভাব বাড়বে এবং দেশ খেলাধুলায় একটি নির্ভরযোগ্য আয়োজক হিসেবে পরিচিত হবে। ভারত ২০১০ সালে নয়াদিল্লিতে কমনওয়েলথ গেমস আয়োজন করেছিল। সেই সময় ভারত খেলাধুলায় তার সেরা পারফরম্যান্স দেখিয়েছিল এবং আন্তর্জাতিক স্তরে আয়োজনটিকে সফল করেছিল। ২০১০ সালের গেমসে ভারত বিভিন্ন খেলায় অনেক পদক জিতেছিল। এই আয়োজন দেশে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ এবং অবকাঠামোকে শক্তিশালী করেছে।

Leave a comment