লিপুলেখ নিয়ে নেপালের দাবি ভিত্তিহীন, জানালো ভারত

লিপুলেখ নিয়ে নেপালের দাবি ভিত্তিহীন, জানালো ভারত

ভারত নেপালের লিপুলেখের দাবিকে ভুল এবং ভিত্তিহীন বলেছে। ভারত ও চীন কয়েক দশক পর সীমান্ত বাণিজ্য পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারত বলেছে যে সীমান্ত বিরোধ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে, একতরফা দাবির মাধ্যমে নয়।

ভারত-নেপাল সীমান্ত: নেপাল আবারও লিপুলেখ গিরিপথকে তাদের অংশ দাবি করে বলেছে যে এটি তাদের ভূখণ্ড। ভারত এই দাবি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছে। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক বলেছে যে নেপালের দাবি না যুক্তিসঙ্গত, না ঐতিহাসিক তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি। মন্ত্রকের মুখপাত্র স্পষ্ট করে বলেছেন যে এই অঞ্চলটি ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এ নিয়ে কোনও বিতর্ক হওয়া উচিত নয়। ভারত আরও স্পষ্ট করেছে যে নেপালের এই ধরনের দাবি উভয় দেশের সম্পর্কে অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনা সৃষ্টি করে।

ভারত ও চীনের মধ্যে লিপুলেখ দিয়ে সীমান্ত বাণিজ্যে সম্মতি

ভারত ও চীনের মধ্যে লিপুলেখ গিরিপথের মাধ্যমে সীমান্ত বাণিজ্যের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ১৯৫৪ সালে শুরু হওয়া এই বাণিজ্য কয়েক দশক ধরে অব্যাহত ছিল। কোভিড-১৯ মহামারী এবং অন্যান্য কিছু কারণে এই বাণিজ্য কিছু সময়ের জন্য বন্ধ ছিল। এখন ভারত ও চীন যৌথভাবে এটি পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পরপরই নেপাল আপত্তি জানিয়ে বলেছে যে লিপুলেখ তাদের অংশ। ভারত নেপালের এই বিবৃতি সম্পূর্ণভাবে খারিজ করে দিয়েছে এবং বলেছে যে এই দাবি বাস্তব থেকে অনেক দূরে।

নেপালের পুরনো দাবি এবং ২০২০ সালের বিতর্ক

নেপাল ২০২০ সালে একটি নতুন রাজনৈতিক মানচিত্র প্রকাশ করেছিল, যেখানে কালাপানি, লিম্পিয়াধুরা এবং লিপুলেখকে নেপালের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছিল। এই পদক্ষেপের ফলে ভারত-নেপাল সম্পর্কের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায়। ভারত তখনও স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে এই অঞ্চলগুলো ভারতের এবং নেপালের দাবি সম্পূর্ণ ভুল। সেই সময়ও ভারত বলেছিল যে সীমান্ত সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যা আলোচনা এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে, মানচিত্র পরিবর্তনের মাধ্যমে নয়।

ভারতের অবস্থান স্পষ্ট: দাবি না যুক্তিসঙ্গত, না ঐতিহাসিক

ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেছেন যে নেপালের দাবি কোনও ঐতিহাসিক তথ্য বা আইনি প্রমাণের উপর ভিত্তি করে তৈরি নয়। ভারত ও চীনের মধ্যে লিপুলেখের মাধ্যমে কয়েক দশক ধরে বাণিজ্য চলে আসছে। এই অঞ্চল সর্বদা ভারতের অধীনে ছিল। কোনও ধরনের একতরফা দাবি मान्य হবে না। ভারত বলেছে যে সীমান্ত সংক্রান্ত সমস্যা শুধুমাত্র পারস্পরিক আলোচনা এবং কূটনৈতিক উপায়ে সমাধান করা যেতে পারে।

বহু দশক ধরে লিপুলেখের মাধ্যমে বাণিজ্য চলে আসছে

ভারত ও চীনের মধ্যে লিপুলেখ গিরিপথ দিয়ে বাণিজ্যের ইতিহাস দীর্ঘ। এই বাণিজ্য ১৯৫৪ সালে শুরু হয়েছিল এবং বহু বছর ধরে কোনো বাধা ছাড়াই চলেছিল। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কোভিড-১৯ এবং অন্যান্য কারণে এটি প্রভাবিত হয়েছে। এখন যখন উভয় দেশ যৌথভাবে এটি পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তখন নেপালের বিরোধিতা সামনে এসেছে। ভারত নেপালের আপত্তি খারিজ করে দিয়ে বলেছে যে বাণিজ্যিক কার্যক্রম ঐতিহাসিক চুক্তি এবং পারস্পরিক সম্মতির উপর ভিত্তি করে তৈরি।

ভারতের নেপালকে প্রস্তাব

ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তারা নেপালের সাথে যে কোনও অমীমাংসিত সীমান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য সর্বদা আলোচনা করতে প্রস্তুত। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক বলেছে যে সীমান্ত সংক্রান্ত দাবি পারস্পরিক संवाद এবং কূটনীতির মাধ্যমেই সমাধান করা উচিত। একতরফা দাবির মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে না। ভারত নেপালকে আশ্বাস দিয়েছে যে উভয় দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য তারা গঠনমূলক আলোচনাকে স্বাগত জানায়।

Leave a comment