US Shutdown Explained: মার্কিন কংগ্রেসে বাজেট নিয়ে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে দেশটিতে শাটডাউন বা অচলাবস্থা শুরু হয়েছে। এতে সরকারি পরিষেবাগুলো বন্ধ হয়ে গেছে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম ২৪ ক্যারেটে ১ লক্ষ ২১ হাজার টাকা ছাড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারতের রফতানি, বস্ত্র ও ওষুধ খাত এই অচলাবস্থার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। শাটডাউন কতদিন স্থায়ী হবে তা এখনও অজানা।
শাটডাউনের কারণ ও প্রভাব
মার্কিন কংগ্রেসে বাজেট পেশের সময় রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটরা হেলথ কেয়ার ফান্ডিং নিয়ে অনড় থাকায় বাজেট লক হয়ে গেছে। ফলে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা কার্যত বন্ধ রয়েছে। শাটডাউনকে শুধু আমেরিকার অভ্যন্তরীণ সমস্যা হিসেবে দেখা ঠিক নয়, কারণ এর প্রভাব ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক বাজারে পড়তে শুরু করেছে।
সোনার বাজারে প্রভাব
শাটডাউনের কারণে সোনার দাম আন্তর্জাতিক বাজারে চড়চড়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। ১০ গ্রাম ২৪ ক্যারেট সোনার দাম ইতিমধ্যেই ১ লক্ষ ২১ হাজার টাকা ছাড়িয়েছে। এটি ভারতের বাজারেও সোনার মূল্য ও জাহাজী ব্যবসার খরচে প্রভাব ফেলতে পারে।
অর্থনৈতিক অস্থিরতা ও বিনিয়োগ প্রভাব
বিশ্বজুড়ে বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে নিরাপদ বিনিয়োগের দিকে ঝুঁকছেন। ভারতের পোর্টফোলিও বিনিয়োগকারীরাও তাদের সম্পদ সরিয়ে নিচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টাকার মান দুর্বল হচ্ছে এবং ডলারের চাহিদা বাড়ছে। শেয়ারবাজারেও কিছু ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
ভারতের বাণিজ্য ও রেমিট্যান্সে চ্যালেঞ্জ
শাটডাউনের কারণে আমেরিকার সরকারি সংস্থা ও কাস্টমসের কাজ ধীর হয়ে গেছে। ফলে ভারত থেকে রফতানি করা পণ্য আমেরিকায় পৌঁছাতে বিলম্ব হচ্ছে। এছাড়া, প্রায় কয়েক লক্ষ ভারতীয় আমেরিকায় কাজ করছেন, তাদের বেতন আটকে গেলে রেমিট্যান্সে প্রভাব পড়বে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, দীর্ঘস্থায়ী শাটডাউন দেশের বেসরকারি খাতেও অর্থনৈতিক ঝুঁকি তৈরি করবে।
ভারতীয় অর্থনীতির স্থিতিশীলতা
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন জানিয়েছেন, ভারতের অর্থনীতি বর্তমানে স্থিতিশীল এবং স্বল্পমেয়াদী আঘাত সামলে নিতে সক্ষম। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের GDP মূলত দেশীয় বাজারের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় আন্তর্জাতিক অস্থিরতা থেকে কিছুটা সুরক্ষা পায়। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নীতিও এই স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক।
আমেরিকার বাজেট শাটডাউনের কারণে সরকারি পরিষেবাগুলো স্তব্ধ হয়ে গেছে এবং সোনার দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে। এই অচলাবস্থা কেবল আমেরিকায় সীমাবদ্ধ না থেকে ভারতের অর্থনীতি ও রপ্তানি খাতেও প্রভাব ফেলছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, যত দ্রুত সমাধান হবে না, বাজারের অস্থিরতা তত দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।