মস্কো: ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক (India-Russia Relation) নিয়ে বড় বার্তা দিলেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ঐতিহাসিক এবং ক্রমাগত আরও শক্তিশালী হচ্ছে। যাঁরা এই বন্ধুত্ব নষ্ট করতে চাইবেন, তাঁরা ব্যর্থ হবেন।” এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার উপর চাপ বাড়াতে ভারতের আমদানির শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করেছেন। ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে এই কূটনৈতিক টানাপোড়েন আরও জটিল হচ্ছে।
রাশিয়ার বার্তা: সম্পর্ক নষ্টের চেষ্টা বিফল
সার্গেই লাভরভ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ভারত-রাশিয়ার বন্ধুত্বের ভিত্তি দীর্ঘদিনের আস্থা ও সহযোগিতার উপর দাঁড়িয়ে। তেল আমদানি থেকে শুরু করে প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ গবেষণায় দুই দেশের সহযোগিতা বহুমুখী। লাভরভের মতে, আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও ভারত স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেয়, আর সেটাই প্রকৃত শক্তি।
আমেরিকার গোঁসা, দ্বিগুণ শুল্কে আঘাত
ভারত-রাশিয়া ঘনিষ্ঠতার কারণে খুশি নয় ওয়াশিংটন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার উপরে চাপ বাড়াতে ভারতের আমদানির উপর শুল্ক ৫০ শতাংশ করেছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপ আসলে নয়াদিল্লিকে ঘিরে কূটনৈতিক চাপ তৈরি করার কৌশল। একই সঙ্গে ট্রাম্প ন্যাটো ও জি-৭ সদস্য দেশগুলিকে আহ্বান জানিয়েছেন, ভারত ও চিনের উপরে বাণিজ্যিক চাপ বাড়ানোর জন্য।
তেল থেকে মহাকাশ: বহুমুখী সহযোগিতা
ভারত এখনও রাশিয়ার কাছ থেকে তেল আমদানি চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, চলতি মাসেই দুই দেশ যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে চলেছে। মহাকাশ গবেষণায়ও রাশিয়ার সহায়তা পাচ্ছে ভারত—রসকসমসে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ভারতীয় মহাকাশচারীরা। এসব প্রমাণ করে, দুই দেশের সম্পর্ক কেবল কৌশলগত নয়, বরং দীর্ঘস্থায়ী আস্থার উপর দাঁড়ানো।
ইউক্রেন যুদ্ধেই মূল টানাপোড়েন
ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে রাশিয়ার উপর চাপ বাড়াচ্ছে আমেরিকা। কিন্তু ভারত সরাসরি অবস্থান না নিয়ে নিরপেক্ষ থেকেছে, একই সঙ্গে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই অবস্থান আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে ভারতের স্বাধীন ভূমিকা স্পষ্ট করছে।
ভারত-রাশিয়ার দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিলেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ। তিনি বলেন, এই বন্ধুত্ব কেউ ভাঙতে পারবে না। অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় আমদানির উপর শুল্ক দ্বিগুণ করে ৫০ শতাংশ করেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের কারণে নয়াদিল্লিকে চাপে রাখতেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।