ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য আলোচনা শুরু: শুল্ক ও কৃষি পণ্যে জোর

ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য আলোচনা শুরু: শুল্ক ও কৃষি পণ্যে জোর

ভারত ও আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করতে আলোচনা শুরু। আমেরিকান শুল্ক, কৃষি এবং দুগ্ধজাত পণ্যের বিষয়গুলি মূল আলোচ্যসূচি। উভয় দেশ সহযোগিতা এবং ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্য নিশ্চিত করার উপর মনোযোগ দেবে।

ভারত-মার্কিন শুল্ক: আমেরিকার প্রধান বাণিজ্য আলোচক ব্রেন্ডন লিঞ্চ সোমবার রাতে ভারতে পৌঁছেছেন। তার আগমন এমন এক সময়ে ঘটেছে যখন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন, যার মধ্যে ২৫ শতাংশ রাশিয়া থেকে তেল কেনার কারণে। ভারতের পক্ষ থেকে বাণিজ্য বিভাগের বিশেষ সচিব রাজেশ আগরওয়াল এই আলোচনায় মূল প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন। উভয় দেশের প্রতিনিধিরা মঙ্গলবার থেকে এই বিষয়ে কাজ শুরু করবেন।

আমেরিকান শুল্ক নিয়ে ভারতের উদ্বেগ

আমেরিকান পক্ষ ভারত থেকে ভুট্টা, সয়াবিন, আপেল, বাদাম এবং ইথানলের উপর শুল্ক কমানো এবং আমেরিকান দুগ্ধজাত পণ্যের জন্য বাজার খোলার অনুরোধ করেছে। ভারত স্পষ্ট করেছে যে এই দাবিগুলি পূরণ করলে কৃষক ও পশুপালকদের জীবিকার উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এই আলোচনায় ভারত তার জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দেবে। এই পদক্ষেপটি উভয় দেশের মধ্যে ভারসাম্যপূর্ণ এবং লাভজনক বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে নেওয়া হবে।

নেতারা আস্থা প্রকাশ করেছেন 

মার্কিন রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প বলেছেন যে উভয় দেশ একটি বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কাজ করছে এবং তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে কথা বলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তিনি বিশ্বাস প্রকাশ করেছেন যে আলোচনা ইতিবাচক ফলাফল দেবে। প্রধানমন্ত্রী মোদী এর স্বাগত জানিয়েছেন এবং বলেছেন যে ভারত ও আমেরিকা ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তিনি বলেছেন যে এই পদক্ষেপ উভয় দেশের অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব এবং কৌশলগত সহযোগিতাকে শক্তিশালী করবে।

কৌশলগত দিকগুলির গুরুত্ব

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপ শুধুমাত্র বাণিজ্য পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নয়। এটি উভয় দেশের কৌশলগত সহযোগিতা, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ভারসাম্য এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। ভারত এই আলোচনায় নিশ্চিত করতে চায় যে কোনো চুক্তি দ্বারা দেশের শিল্প, কৃষক এবং পশুপালকরা প্রভাবিত না হন। আমেরিকান পক্ষ চায় যে ভারত তার বাজারে আমেরিকান পণ্যের প্রবেশাধিকার বাড়াক এবং শুল্ক কমাওক।

এই আলোচনার মূল উদ্দেশ্য হল শুল্ক কমানো, বাণিজ্য বাধা দূর করা এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে লাভজনক করা। যদি এটি ইতিবাচকভাবে সম্পন্ন হয়, তাহলে ভারত-মার্কিন অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব নতুন গতি পাবে। এর ফলে উভয় দেশের মধ্যে আস্থা মজবুত হবে এবং বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের জন্য এটি একটি স্পষ্ট সংকেত হবে।

Leave a comment