মার্কিন ডলারের দৃঢ়তা এবং বিদেশী বিনিয়োগকারীদের বিক্রির কারণে ভারতীয় রুপি শুক্রবার ডলার প্রতি 88.66-এ দুর্বল হয়ে গেছে। শেয়ারবাজারেও পতন দেখা গেছে। যদিও অপরিশোধিত তেলের দামে হ্রাস কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে, কিন্তু চাপ এখনও বিদ্যমান।
রুপি বনাম ডলার: সপ্তাহের শেষ লেনদেন দিবসে শুক্রবার ভারতীয় রুপির দুর্বল শুরু হয়েছিল। ইন্টারব্যাঙ্ক বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে রুপি ডলার প্রতি 88.61 টাকায় খোলে এবং প্রাথমিক লেনদেনে পিছলে গিয়ে ডলার প্রতি 88.66 টাকায় পৌঁছে যায়। বৃহস্পতিবার রুপি ডলার প্রতি 88.63 টাকায় বন্ধ হয়েছিল।
ডলারের দৃঢ়তার প্রভাব
মার্কিন ডলার ক্রমাগত শক্তিশালী হচ্ছে। ডলার ইনডেক্স, যা ছয়টি প্রধান বৈশ্বিক মুদ্রার বিপরীতে ডলারের অবস্থান নির্দেশ করে, 0.08 শতাংশ বেড়ে 99.66-এ পৌঁছেছে। ডলারের এই দৃঢ়তা রুপির উপর চাপ সৃষ্টি করছে এবং বিদেশী বিনিয়োগকারীদের মনোভাবের উপরও প্রভাব ফেলছে।
বিদেশী বিনিয়োগকারীদের অব্যাহত বিক্রি
বিদেশী প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী (FII) ক্রমাগত শেয়ারবাজার থেকে অর্থ তুলে নিচ্ছে। বৃহস্পতিবারেই FIIs 3,263 কোটি টাকার বেশি নিট বিক্রি করেছে। এই বিক্রির কারণে বাজারের মনোভাব দুর্বল হয়েছে এবং রুপির চাহিদার উপরও প্রভাব পড়েছে।
শেয়ারবাজারে পতনের পরিবেশ
ঘরোয়া শেয়ারবাজারের শুরুও দুর্বল ছিল। বিএসই সেনসেক্স 610 পয়েন্ট কমে 82,700-এর কাছাকাছি চলে এসেছে। অন্যদিকে এনএসই নিফটি 169 পয়েন্টের পতন নিয়ে 25,340-এ লেনদেন করছে। প্রায় সমস্ত সেক্টরে বিক্রির চাপ দেখা গেছে।
অপরিশোধিত তেলের দামে হ্রাসের প্রভাব
আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামে হালকা পতন দেখা গেছে। ব্রেন্ট ক্রুড 0.39 শতাংশ কমে ডলার প্রতি 63.62 ব্যারেলে লেনদেন করছে। তেলের দামে এই হ্রাস ভারতের জন্য স্বস্তিদায়ক, কারণ এর ফলে আমদানির খরচ কমে। যদিও, রুপির দুর্বলতা রোধের জন্য এই স্বস্তি এখনও পর্যাপ্ত বলে মনে হচ্ছে না।
আর্থিক বিশ্লেষকদের মতে, ডলারের দৃঢ়তা, বৈশ্বিক বন্ড ইল্ডে বৃদ্ধি এবং FII-এর বিক্রির কারণে রুপির উপর চাপ আগামীতেও বজায় থাকতে পারে। নিকট ভবিষ্যতে রুপি 88.75 থেকে 88.80 স্তরের দিকে অগ্রসর হতে পারে। যদিও অপরিশোধিত তেলের দাম কম থাকলে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হতে পারে।













