ডলারের বিপরীতে রেকর্ড পতন তলানিতে ঠেকল ভারতীয় টাকা !

ডলারের বিপরীতে রেকর্ড পতন তলানিতে ঠেকল ভারতীয় টাকা !

মুদ্রা সংকট: বৃহস্পতিবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫-এ বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে ভারতীয় রুপি ডলারের তুলনায় পড়ল ৮৮.৪৪-এ, যা এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন রেকর্ড। গত সপ্তাহে ৮৮.৩৬-এর রেকর্ড ভেঙে এ বার আরও নিচে নামল টাকা। কেন এই ধস? অর্থনীতিবিদদের মতে, মার্কিন প্রশাসনের শুল্কনীতি, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অর্থ তুলে নেওয়া এবং বাড়তি আমদানি ব্যয় রুপির ওপর তীব্র চাপ তৈরি করেছে।

রুপির নতুন রেকর্ড পতন

ডলারের বিপরীতে ভারতীয় মুদ্রা নেমে দাঁড়াল ৮৮.৪৪-এ। গত সপ্তাহে রেকর্ড ছিল ৮৮.৩৬। এক সপ্তাহের মধ্যেই সেই রেকর্ড ভেঙে রুপির দর আরও নিচে নামল। বাজারে ডলারের চাহিদা বাড়তেই রুপির ওপর চাপ বাড়ছে।

মার্কিন শুল্ক নীতির প্রভাব

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক চাপিয়েছে। চিংড়ি, টেক্সটাইল ও ফার্মা সেক্টর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত। রপ্তানির প্রতিযোগিতামূলক ক্ষমতা কমে যাওয়ায় ডলারের চাহিদা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিদেশি বিনিয়োগকারীর সরে যাওয়া

ফরেন ইনভেস্টররা এই বছরেই ভারতের শেয়ার ও বন্ড মার্কেট থেকে ১,১৭০ কোটি ডলার তুলে নিয়েছেন। টাকার সরবরাহ কমে ডলারের প্রভাব বেড়েছে। এতে রুপির দর ধসে পড়েছে।

আমদানি খরচ ও মুদ্রাস্ফীতি আশঙ্কা

রুপির পতনে সরাসরি প্রভাব পড়বে সাধারণ মানুষের ওপর। কাঁচা তেল, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও সোনার আমদানি খরচ বেড়ে যাবে। জ্বালানির দাম বাড়লে পরিবহন থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামও চড়বে।

সরকার ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পদক্ষেপ

কেন্দ্র ইতিমধ্যেই জিএসটি হারে পরিবর্তন এনে উৎসবের বাজার চাঙা করার চেষ্টা করছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কও ডলার বিক্রি করে পরিস্থিতি সামলাতে চাইছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এগুলি স্বল্পমেয়াদি সমাধান, স্থায়ীভাবে রুপির পতন রোধে শক্ত অর্থনৈতিক পদক্ষেপ দরকার।

ভারতীয় রুপি আবারও রেকর্ড ভাঙল। বৃহস্পতিবার ডলারের তুলনায় টাকার দাম নেমে দাঁড়াল ৮৮.৪৪, যা ইতিহাসে সর্বনিম্ন। বিশেষজ্ঞদের দাবি, মার্কিন শুল্ক চাপ, বিদেশি বিনিয়োগ প্রত্যাহার এবং আমদানি ব্যয়ের বৃদ্ধির ফলে এই ধস নেমেছে।

Leave a comment