মধ্যপ্রদেশের জবলপুরে মদ্যপ যুবক বিনোদ মহোবিয়া হনুমানজির মূর্তির সঙ্গে অভদ্রতা করেছে। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর গ্রামবাসীরা যুবকটিকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয় এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
জবলপুর: মধ্যপ্রদেশের জবলপুর জেলার মঝৌলি থানা এলাকায় এক মদ্যপ যুবক মন্দিরে প্রবেশ করে ভগবান হনুমানজির প্রতিমার সঙ্গে অভদ্রতা করেছে। এই ঘটনা কেবল ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত হানছে না, সমাজে ক্ষোভ ও অসন্তোষও ছড়াচ্ছে। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে যুবকটি মূর্তিটিকে লাথি মেরেছে এবং অশ্লীল গালিগালাজ করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে।
ঘটনার পরপরই গ্রামবাসীরা অভিযুক্তকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ভারপ্রাপ্ত থানা ইনচার্জ অমিত মিশ্রা জানিয়েছেন যে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং শান্তি ভঙ্গের ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হয়েছে যে যুবকটি মদ্যপ অবস্থায় ছিল এবং ইচ্ছাকৃতভাবে এমন কাজ করেছে।
মদ্যপ অবস্থায় যুবকের মন্দিরে অভদ্র আচরণ
এই লজ্জাজনক ঘটনাটি মঝৌলি থানার খিতৌলা পড়বাড় এলাকার। অভিযুক্ত যুবককে পড়বারের বাসিন্দা বিনোদ মহোবিয়া হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাকে রামপাল বাবার অনুসারী বলা হচ্ছে।
স্থানীয়দের মতে, বিনোদ মদ্যপ অবস্থায় মন্দিরে পৌঁছায় এবং সেখানে স্থাপিত হনুমানজির প্রতিমাকে পা দিয়ে ঠেলতে থাকে। সে প্রতিমার সঙ্গে অভদ্র আচরণ করে এবং অশ্লীল গালিগালাজ করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে। ঘটনার সময় আশেপাশের লোকজন আতঙ্কে ছিল এবং এই পুরো ঘটনার ভিডিও মোবাইলে রেকর্ড করা হয়।
ভাইরাল ভিডিও নিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামবাসীরা সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে অভিযুক্তকে মারধর করে এবং তারপর তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ভিডিওটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে গভীর অসন্তোষ তৈরি করেছে।
স্থানীয়দের বক্তব্য, মন্দির ও ধর্মীয় স্থানে এ ধরনের কার্যকলাপ সহ্য করা যায় না। জনগণ পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছে।
পুলিশের পদক্ষেপ ও গ্রেপ্তার
পুলিশ অভিযুক্ত বিনোদ মহোবিয়াকে থানায় এনে মামলার গুরুত্ব সহকারে তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, অপমান এবং শান্তি ভঙ্গের ধারায় এফআইআর (FIR) দায়ের করা হয়েছে।
আদালতের নির্দেশে অভিযুক্তকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন যে, ঘটনার গভীর তদন্ত করা হচ্ছে যাতে ভবিষ্যতে কোনো ধরনের ধর্মীয় অশুভ কার্যকলাপ না ঘটে তা নিশ্চিত করা যায়।












