রাজস্থানের জয়সলমেরে একটি এসি বাসে ভয়াবহ আগুন লেগে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা যোধপুর হাসপাতালে পৌঁছে আহতদের সাথে দেখা করেছেন এবং উন্নত চিকিৎসা ও সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।
জয়সলমের: রাজস্থানের জয়সলমের জেলায় মঙ্গলবার একটি এসি বাস দুর্ঘটনা ঘটে, যেখানে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনাটি জয়সলমের-যোধপুর হাইওয়েতে থাইয়াত গ্রামের কাছে ঘটেছে। বাসটি প্রতিদিন সকাল তিনটেয় জয়সলমের থেকে ছাড়ে, কিন্তু এবার বাসটি মাত্র ২০ কিলোমিটার চলার পরেই হঠাৎ আগুনের গোলা হয়ে যায়। দুর্ঘটনায় বাসে থাকা প্রায় ৫০ জন যাত্রীর মধ্যে অনেকে গুরুতর আহত হয়েছেন।
স্থানীয় গ্রামবাসীদের সাহায্যে অনেককে উদ্ধার করা হয়েছে, কিন্তু যারা আগুনের শিখায় আটকা পড়েছিলেন, তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। প্রাথমিক তদন্তে আগুন লাগার কারণ শর্ট সার্কিট বলা হচ্ছে।
তদন্তে বাস দুর্ঘটনার কারণ শর্ট সার্কিট
পুলিশ ও ফায়ার বিভাগের প্রাথমিক তদন্তে আগুন লাগার কারণ শর্ট সার্কিট বলা হচ্ছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে বাসের এসি সিস্টেম দীর্ঘ দিন ধরে সঠিকভাবে সার্ভিসিং করা হয়নি, যার ফলে ওয়্যারিং-এ ত্রুটি থাকা সম্ভব।
যদিও, তদন্ত দল বাস অপারেটর এবং চালকের সাথেও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। দুর্ঘটনার সময় চালক বাস থামিয়ে যাত্রীদের বের করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু আগুন এতটাই তীব্র ছিল যে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা হাসপাতালে পৌঁছালেন
গভীর রাতে মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা যোধপুরের মহাত্মা গান্ধী হাসপাতালে পৌঁছালেন, যেখানে আহতদের চিকিৎসা চলছে। তিনি ডাক্তারদের কাছ থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট নেন এবং উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।
মুখ্যমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “আমি ঈশ্বরের কাছে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। সরকার প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে আছে এবং তাদের সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।”
প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এই দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী মৃতদের পরিবারবর্গকে প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে দুই লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহায়তা ঘোষণা করেছেন।
এই মর্মান্তিক ঘটনাটি সারা দেশকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। দুর্ঘটনার প্রতিধ্বনি সোশ্যাল মিডিয়াতেও দেখা গেছে, যেখানে মানুষজন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং বাস কোম্পানিগুলোর অবহেলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।