জামনগরের বনতারা কেন্দ্রে হাতী বন্দীদশা: সুপ্রিম কোর্টে আজ ফের শুনানি

জামনগরের বনতারা কেন্দ্রে হাতী বন্দীদশা: সুপ্রিম কোর্টে আজ ফের শুনানি
সর্বশেষ আপডেট: 19 ঘণ্টা আগে

সুপ্রিম কোর্ট আজ, সোমবার, গুজরাটের জামনগর স্থিত বনতারা বন্যপ্রাণী কেন্দ্রে অবৈধ বন্যপ্রাণী স্থানান্তর এবং হাতীদের অবৈধ বন্দীত্বের অভিযোগের গভীর তদন্তের দাবিতে জনস্বার্থ মামলার শুনানি পুনরায় শুরু করতে চলেছে।

নতুন দিল্লি: ভারতের সর্বোচ্চ আদালত, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে, গুজরাটের জামনগর স্থিত বনতারা বন্যপ্রাণী কেন্দ্রে হাতীদের অবৈধ বন্দীত্ব এবং অন্যান্য গুরুতর অনিয়ম সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানি করবে। এই মামলাটি দেশজুড়ে বন্যপ্রাণী সুরক্ষা এবং সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের সঙ্গে জড়িত থাকায় ব্যাপক আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।

আদালত পূর্বে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (এসআইটি) গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল, যার রিপোর্ট ১২ সেপ্টেম্বর জমা দেওয়া হয়েছিল। এখন আদালত এই রিপোর্টের পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করবে।

মামলার বিষয়বস্তু কী?

জনস্বার্থ মামলাটিতে অভিযোগ করা হয়েছে যে বনতারা কেন্দ্রে হাতীদের তাদের প্রাকৃতিক বাসস্থান থেকে সরিয়ে অবৈধভাবে বন্দী করে রাখা হয়েছে। এছাড়াও, বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইনের লঙ্ঘন এবং নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। আবেদনকারীদের মতে, এই কেন্দ্রে বন্যপ্রাণীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে এবং এটি পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী সুরক্ষার মূল উদ্দেশ্যের পরিপন্থী। আদালত প্রাথমিক শুনানিতে দেখতে পায় যে অভিযোগগুলি গুরুতর এবং একটি ব্যাপক তদন্ত প্রয়োজন।

এসআইটি গঠন এবং তার ভূমিকা

২৫ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে, বিচারপতি পঙ্কজ মিত্তাল এবং বিচারপতি প্রснаб বি. ভারালের বেঞ্চ তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (এসআইটি) গঠন করেছিল। এর উদ্দেশ্য হল অভিযোগগুলির গভীরে গিয়ে অনুসন্ধান করা। এসআইটি কেবল আদালতের সহায়তার জন্য তথ্য-অনুসন্ধানমূলক তদন্ত করবে, কোনো আইনানুগ সংস্থা বা বনতারার বিরুদ্ধে পূর্বধারণা নিয়ে পদক্ষেপ নেবে না। এসআইটি-র প্রধান সদস্যরা হলেন:

  • অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জষ্টি চেলামেশ্বর, সুপ্রিম কোর্ট
  • বিচারপতি রাঘবেন্দ্র চৌহান, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি, উত্তরাখণ্ড ও তেলেঙ্গানা উচ্চ আদালত
  • হেমন্ত নাগরালে, প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার, মুম্বাই
  • অনীশ গুপ্তা, সিনিয়র আইআরএস কর্মকর্তা

এই সদস্যদের বিশেষ জ্ঞান এবং নিরপেক্ষতা বিবেচনা করে এই তদন্তকে নির্ভরযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে। আদালত এসআইটি-কে ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল, যা একটি বন্ধ খামে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনের সাথে একটি পেনড্রাইভও রয়েছে, যেখানে তদন্ত সম্পর্কিত ডিজিটাল প্রমাণপত্র রাখা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্ট কী বলেছিল?

শুনানির সময়, বেঞ্চ স্পষ্ট করে যে এই তদন্ত শুধুমাত্র তথ্য সংগ্রহের জন্য, যাতে আদালত উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। বেঞ্চ বলেছিল, এই প্রক্রিয়া কোনো আইনানুগ কর্তৃপক্ষ বা ব্যক্তিগত উত্তরদাতা—বনতারা—এর কাজকর্মের ওপর সন্দেহ প্রকাশ হিসেবে গণ্য করা হবে না। এটি আদালতের সহায়তার জন্য একটি তথ্য-অনুসন্ধানমূলক প্রক্রিয়া।

এর সাথে, আদালত ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছে, যেখানে এসআইটি দ্বারা উপস্থাপিত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে এবং পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

Leave a comment