জামশেদপুরের বিস্টুপুর গুরুদুয়ারা এলাকায় ব্যবসায়ী সাকেত আগরওয়ালের কাছ থেকে দিনের আলোয় ৩০ লক্ষ টাকা ডাকাতি করা হয়েছে। অপরাধীরা চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে এই ঘটনা ঘটায়। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে।
জামশেদপুর: ঝাড়খণ্ডের শিল্প শহর জামশেদপুরে বৃহস্পতিবার দিনের আলোয় এক বড় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শহরের বিস্টুপুর গুরুদুয়ারা এলাকায় ব্যবসায়ী সাকেত আগরওয়ালের কাছ থেকে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা ডাকাতি করা হয়েছে। সাকেত যখন ব্যাংকে টাকা জমা দিতে যাচ্ছিলেন, তখনই অপরাধীরা তাকে গুলি করার চেষ্টা করে। সৌভাগ্যক্রমে তিনি অল্পের জন্য রক্ষা পান।
এই ঘটনাটি শহরে অপরাধের ক্রমবর্ধমান হারকে তুলে ধরেছে এবং ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের মধ্যে ভয় ও নিরাপত্তাহীনতার পরিবেশ তৈরি করেছে।
স্কুটি করে ব্যাংক যাওয়ার পথে ধূর্ত ডাকাতি
তথ্য অনুযায়ী, সাকেত আগরওয়াল हिंदुस्तान ইউনিলিভার এজেন্সি চালান এবং স্কুটি করে ব্যাংক যাচ্ছিলেন। যখন তিনি বিস্টুপুর গুরুদুয়ারা এলাকা পেরোন, তখন রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ইনোভা গাড়ি তার স্কুটির সামনে এসে থামে।
এরপর গাড়ি থেকে দুজন অপরাধী নেমে সরাসরি সাকেতের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেয়। এরপর তারা টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে ইনোভা গাড়িতে উঠে দ্রুত পালিয়ে যায়। এই ঘটনা পুরো এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে দিয়েছে।
পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ এবং এলাকার তদন্ত শুরু করেছে
খবর পাওয়া মাত্রই বিস্টুপুর থানার পুলিশ দ্রুত এলাকাটি ঘিরে ফেলে। সিটি एसपी কুমার শিবাশীষ এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘটনার গুরুত্ব খতিয়ে দেখেন।
পুলিশ অপরাধীদের পরিচয় ও দ্রুত গ্রেফতার নিশ্চিত করার জন্য আশেপাশের সমস্ত সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে। एसपी বলেছেন, 'বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। পুলিশ প্রতিটি দিকে কাজ করছে এবং শীঘ্রই অপরাধীদের গ্রেফতার করা হবে।'
বিধায়ক সরু রায় ঘটনাস্থলে
জামশেদপুর পশ্চিমের বিধায়ক সরু রায়ও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। তিনি শহরে অপরাধের ক্রমবর্ধমান হার এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও নাগরিকদের মতে, ব্যস্ততম এলাকায় অপরাধীরা এখন নির্ভয়ে বড় বড় অপরাধ ঘটাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অপরাধমূলক ঘটনা এবং পূর্বের ডাকাতির তথ্য
এই ঘটনার একদিন আগেই, বুধবার, সোনారీ থানার অন্তর্গত বর্ধমান জুয়েলার্সে সশস্ত্র অপরাধীরা বড় ধরনের ডাকাতি করেছিল। ছয়জন অপরাধী গ্রাহক সেজে দোকানে প্রবেশ করে এবং মালিক পঙ্কজ জৈনকে পণবন্দী করে।
তারা প্রচুর পরিমাণে অলঙ্কার ও গহনা লুট করে এবং বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে পঙ্কজ জৈনের মাথায় পিস্তলের বাট দিয়ে আঘাত করে, যার ফলে তিনি গুরুতর আহত হন। এই ক্রমাগত ঘটনাগুলো শহরে নিরাপত্তা ব্যবস্থার গুরুতর ত্রুটিগুলো তুলে ধরছে।