ঝাঁসিতে শনিবার গভীর রাতে হুলুস্থুল পড়ে যায়, যখন দিল্লি কন্ট্রোল রুমে ছত্তিশগড় সম্পর্ক ক্রান্তি এক্সপ্রেস-এ বোমা থাকার খবর আসে। হজরত নিজামুদ্দিন থেকে দুর্গগামী এই ট্রেনটিকে তড়িঘড়ি ঝাঁসি রেলওয়ে স্টেশনে থামানো হয় এবং সমস্ত যাত্রীদের সাবধানে ট্রেন থেকে নামানো হয়। নিরাপত্তা সংস্থাগুলি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ট্রেনের বগি-বগি করে খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে।
খবর পাওয়া মাত্রই জিআরপি, আরপিএফ, বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল এবং দমকল বিভাগের কর্মীরা তৎপর হয়ে ওঠে। ট্রেনের বি-ওয়ান কোচে তিনটি পরিত্যক্ত বাক্স পাওয়া যাওয়ায় কিছুক্ষণের জন্য আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছিল, কিন্তু অনুসন্ধানে কোনো সন্দেহজনক বস্তু পাওয়া যায়নি। ট্রেনের সম্পূর্ণ পরীক্ষার পর যাত্রীদের পুনরায় ট্রেনে বসানো হয় এবং ট্রেনটিকে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তদন্তে পুলিশ
এক যাত্রী জানান, ঝাঁসি স্টেশনে ট্রেন থামার সঙ্গে সঙ্গেই নিরাপত্তা কর্মীরা কামরায় প্রবেশ করেন এবং সমস্ত যাত্রীকে তাদের জিনিসপত্র নিয়ে বাইরে যেতে বলেন। যদিও কারও কোনো অসুবিধা হয়নি এবং পরে সবাই নিরাপদে তাদের আসনে ফিরে আসেন।
সিটি ম্যাজিস্ট্রেট প্রমোদ ঝা জানান, খবর পাওয়া মাত্রই এসপি সিটি, সিও সিটি এবং রেলওয়ে পুলিশের একটি দল প্ল্যাটফর্ম খালি করে এবং নিরাপত্তা প্রক্রিয়া অনুসরণ করে। যদিও বোমার খবরটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছিল, তবুও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুরো ট্রেনটি ভালোভাবে পরীক্ষা করা হয়।
পুলিশ এখন এই বিষয়ে তদন্ত করছে যে ট্রেনের বোমা খবরটি নিছক একটি মিথ্যা কল ছিল নাকি এর পিছনে কোনো গভীর ষড়যন্ত্র লুকিয়ে আছে। ফোন করা ব্যক্তির পরিচয় এবং তার অবস্থান ট্র্যাক করার জন্য সাইবার সেলকে সক্রিয় করা হয়েছে। এরই মধ্যে রেলওয়ে এবং পুলিশ প্রশাসন যাত্রীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, তারা যেন কোনো গুজবে কান না দেন এবং ভ্রমণের সময় কোনো সন্দেহজনক বস্তু বা কার্যকলাপ দেখলে সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানান, যাতে সময় মতো ব্যবস্থা নেওয়া যায় এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
এই ঘটনাটি আবারও প্রমাণ করেছে যে রেলওয়ে এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলি সতর্ক অবস্থায় রয়েছে এবং যেকোনো পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। মিথ্যা কলের কারণে যাত্রীদের কিছু অসুবিধা হলেও, সময় মতো পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে একটি বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে।