বিহারের রাজনীতিতে আজকাল নির্বাচনী উত্তেজনার পারদ অত্যন্ত চড়া এবং প্রতিটি রাজনৈতিক দল তাদের কৌশলকে শান দিতে ব্যস্ত। এরই মধ্যে হিন্দুস্তানি आवाम मोर्चा (হাম)-এর প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতন রাম मांझी আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে এক বড় বিবৃতি দিয়েছেন।
पटना: বিহারের রাজনীতিতে হিন্দুস্তানি आवाम मोर्चा (হাম)-এর প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতন রাম मांझी আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে তাঁর দলের জন্য 'করো বা মরো'র লড়াই বলে অভিহিত করেছেন। দল গঠনের দশ বছর অতিক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও স্বীকৃত দলের মর্যাদা না পাওয়ায় मांझी অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং এবার তাঁর সমস্ত শক্তি নির্বাচনী রণক্ষেত্রে ঝাঁপিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
দলের জন্য দুটি সম্ভাব্য পথ
মাঁঝি স্পষ্ট করেছেন যে কোনও দলকে স্বীকৃত পার্টি হওয়ার জন্য দুটি বিকল্প রয়েছে। প্রথমত, বিধানসভায় কমপক্ষে আটটি আসন জেতা। দ্বিতীয়ত, মোট ভোটের কমপক্ষে ছয় শতাংশ অর্জন করা। তিনি বলেন যে হাম পার্টি এখন এই লক্ষ্যগুলি অর্জনের জন্য দুটি সম্ভাব্য কৌশল বিবেচনা করছে।
- এনডিএ জোটের সাথে নির্বাচন: মাঁঝির মতে, প্রথম পথ হল পার্টি এনডিএ জোটের অংশ হয়ে কমপক্ষে ১৫টি আসনে নির্বাচন লড়বে এবং এদের মধ্যে কমপক্ষে আটটি আসন জিতবে।
- স্বাধীন কৌশল: দ্বিতীয় বিকল্প হল পার্টি রাজ্যের ৫০ থেকে ১০০টি আসনে প্রার্থী দেবে এবং প্রতিটি অঞ্চলে গড়ে ১০ হাজারেরও বেশি ভোট অর্জন করবে।
মাঁঝি বলেন যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পার্টির নেতৃত্ব নেবে, তবে যদি তাকে কৌশলগত পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়, তবে তিনি রাজনৈতিক সমীকরণ দেখে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবেন।
জিতন রাম মাঁঝির রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা
জিতন রাম मांझी বিহারের রাজনীতিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ২০১৫ সালে নীতীশ কুমারের প্রত্যাবর্তনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর তিনি হাম পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন। দলের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন যে দশ বছর পরেও পার্টি কেবল একটি নিবন্ধিত দল হিসেবেই রয়েছে এবং স্বীকৃত দলের মর্যাদা পায়নি।
মাঁঝি বলেন, এটি আমার এবং দলের উভয়ের জন্যই অপমানজনক। তাই এবার বিধানসভা নির্বাচন আমাদের জন্য করো বা মরো-র লড়াই হবে। তিনি আরও বলেন যে বিহারের রাজনীতিতে হাম পার্টি তার শক্তিশালী উপস্থিতি জানানোর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করবে। হাম পার্টিতে জিতন রাম মাঁঝির পরিবারেরও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। তাঁর ছেলে সন্তোষ কুমার সুমন বর্তমানে পার্টির জাতীয় সভাপতি এবং বিহার সরকারের মন্ত্রী। অন্যদিকে তাঁর স্ত্রী দীপা मांझी এবং শাশুড়ি জ্যোতি দেবীও বিধায়ক। এতদসত্ত্বেও পার্টি এখন পর্যন্ত অ-স্বীকৃত দল হিসেবেই রয়ে গেছে।