বিচারপতি সঞ্জীব সচদেবা মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত

বিচারপতি সঞ্জীব সচদেবা মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত

বিচারপতি সঞ্জীব সচদেবা মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের ২৯তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নিলেন। দিল্লীতে জন্মগ্রহনকারী সচদেবা ১৯৮৮ সালে ওকালতি শুরু করেন। রাজ্যপাল তাঁকে পদে শপথ বাক্য পাঠ করান।

Chief Justice MP: মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট তাদের ২৯তম প্রধান বিচারপতি পেল। বিচারপতি সঞ্জীব সচদেবা বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ গ্রহণ করেছেন। ভোপালের রাজভবনে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল মঙ্গুভাই প্যাটেল তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ উপস্থিতি

শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে মধ্যপ্রদেশ সরকার এবং বিচার বিভাগের অনেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। মুখ্যসচিব অনুরাগ জৈন এই অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন এবং রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু কর্তৃক জারি করা বিজ্ঞপ্তি পাঠ করেন, যেখানে বিচারপতি সঞ্জীব সচদেবাকে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছে।

মে মাস থেকে কার্যনির্বাহী প্রধান বিচারপতির ভূমিকায় ছিলেন

বিচারপতি সচদেবা মে ২০২৪ সাল থেকে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে কার্যনির্বাহী প্রধান বিচারপতির ভূমিকা পালন করছিলেন। তাঁর অভিজ্ঞতা এবং নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা বিবেচনা করে তাঁকে এখন সম্পূর্ণরূপে এই পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষা এবং প্রাথমিক কর্মজীবন

বিচারপতি সঞ্জীব সচদেবা ১৯৬৪ সালের ২৬শে ডিসেম্বর দিল্লীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮৫ সালে শ্রী রাম কলেজ অফ কমার্স, দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্য (অনার্স) এ স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। এরপর ১৯৮৮ সালে দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ল সেন্টার থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন।

ওকালতির শুরু

১লা অগাস্ট ১৯৮৮ সালে তিনি দিল্লী বার কাউন্সিলে আইনজীবী হিসাবে নথিভুক্ত হন। এরপর তিনি দিল্লী হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলার প্রতিনিধিত্ব করেছেন। কর্মজীবনের শুরু থেকেই তিনি আইনের ক্ষেত্রে গভীরতা এবং পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছেন।

বিচার বিভাগীয় সেবায় অবদান

বিচারপতি সচদেবা তাঁর কর্মজীবনে অসংখ্য সংবেদনশীল এবং জটিল মামলার নিষ্পত্তি করেছেন। বিচার বিভাগীয় সেবায় তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি সবসময় নিরপেক্ষ, সুষম এবং আইনের মধ্যে আবদ্ধ থেকেছে। তিনি বিচারিক স্বচ্ছতা এবং সাধারণ নাগরিকদের ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকারকে সহজলভ্য করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন।

Leave a comment