কমল হাসান তামিলে রাজ্যসভার শপথ নিয়ে ভাষা সম্মানের বার্তা দিলেন। ডিএমকের সমর্থনে আসন লাভ। সংসদে করতালির ধ্বনি এবং জোট রাজনীতির নতুন দিগন্ত উন্মোচিত।
Kamal Haasan: বিখ্যাত অভিনেতা এবং মাক্কাল নিধি মাইয়াম (MNM) পার্টির প্রধান কমল হাসান ২৫ জুলাই রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। তিনি তামিল ভাষায় শপথ বাক্য পাঠ করেন, যা সংসদের করতালিধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে। তামিলে শপথ নিয়ে কমল হাসান কেবল নিজের ভাষার প্রতি সম্মান দেখাননি, বরং আঞ্চলিক ভাষাগুলির প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতাও ব্যক্ত করেছেন।
শপথের পর গর্ব ও সম্মানের অনুভূতি প্রকাশ
শপথ নেওয়ার পর সংসদ ভবন চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ৬৯ বছর বয়সী অভিনেতা বলেন যে তিনি অত্যন্ত গর্বিত এবং সম্মানিত বোধ করছেন। কমল হাসান বলেন, এই সুযোগ তাঁর জন্য একটি বড় দায়িত্ব নিয়ে এসেছে এবং তিনি সম্পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে তাঁর কর্তব্য পালন করবেন।
ডিএমকের সমর্থনে রাজ্যসভা আসন লাভ
কমল হাসান ডিএমকের সমর্থনের বিনিময়ে এই রাজ্যসভা আসনটি পেয়েছেন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে হাসানের দল মাক্কাল নিধি মাইয়াম ডিএমকে-কে সমর্থন করেছিল। এই রাজনৈতিক সহযোগিতার পর ডিএমকে তাঁকে উচ্চ কক্ষে পাঠিয়েছে।
রাজনৈতিক জোট
কমল হাসান এবং ডিএমকের মধ্যে এখন আনুষ্ঠানিক রাজনৈতিক জোট হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, ২০২৬ সালে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনে ডিএমকে এবং এমএনএম একসঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে। এই জোট রাজ্যের রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে।
৬ জুন কমল হাসান তামিলনাড়ু সচিবালয়ে তাঁর মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এ সময় মুখ্যমন্ত্রী এম.কে. স্টালিন, উপমুখ্যমন্ত্রী উদয়নিধি স্টালিন, ভিসিকের নেতা থোল থিরুমাভালভান, এমডিএমকের ভাইকো এবং তামিলনাড়ু কংগ্রেস প্রধান সেলভাপেরুনথাগাইয়ের মতো অনেক वरिष्ठ নেতা তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। এটি স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল যে হাসান তামিলনাড়ুর ক্ষমতাসীন জোটের সম্পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছেন।
সাধারণ মানুষের রাজনীতির কথা
কমল হাসান এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে তিনি রাজনীতিতে একজন তারকা হিসেবে নন, বরং একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে এসেছেন। তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেছিলেন যে তাঁর দল না ডানপন্থী, না বামপন্থী। তিনি বলেন, 'মাইয়াম' শব্দের অর্থই হল কেন্দ্র, অর্থাৎ ভারসাম্য। তাঁর দল সাধারণ মানুষের সমস্যার সমাধানে নিবেদিত এবং তিনি নিজেকে তামিলনাড়ুর জন্য তৃতীয় বিকল্প হিসেবে তুলে ধরেন।
সিনেমা থেকে সংসদে যাত্রা
কমল হাসানের চলচ্চিত্র জীবন কয়েক দশক দীর্ঘ এবং তিনি তামিল সিনেমায় অনেক স্মরণীয় ভূমিকা রেখেছেন। রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পরেও তিনি জনগণের সঙ্গে যুক্ত বিষয়গুলিকে প্রাধান্য দিয়েছেন। এখন সংসদে পৌঁছে তিনি সেই বিষয়গুলি জাতীয় স্তরে উত্থাপন করতে পারেন যা দক্ষিণ ভারত বিশেষ করে তামিলনাড়ুর সঙ্গে সম্পর্কিত।