সোনার চোরাচালানে কান্নাডা অভিনেত্রী রান্যা রাওয়ের কারাদণ্ড

সোনার চোরাচালানে কান্নাডা অভিনেত্রী রান্যা রাওয়ের কারাদণ্ড

কান্নাডা ফিল্ম অভিনেত্রী রান্যা রাও সোনার চোরাচালানের মামলায় বড় ধাক্কা খেলেন। বৈদেশিক মুদ্রা এবং চোরাচালান প্রতিরোধ আইন (COFEPOSA)-এর অধীনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে আদালত এক বছরের কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে।

Ranya Rao Gold Smuggling Case: কান্নাডা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির পরিচিত অভিনেত্রী রান্যা রাও (Ranya Rao) সোনার চোরাচালানের মামলায় বড় ধাক্কা খেলেন। আদালত তাকে COFEPOSA (Conservation of Foreign Exchange and Prevention of Smuggling Activities Act)-এর অধীনে ১ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে। 

বিশেষ বিষয় হল, এই সময়ে তিনি কোনো প্রকার জামিন পাবেন না। মার্চ ২০২৫-এ রান্যা রাও দুবাই থেকে ভারতে ফেরার সময় ১৪.২ কেজি সোনা সহ গ্রেফতার হয়েছিলেন। এর আগে তার জামিনের আবেদন দুবার খারিজ হয়ে গেছে এবং এখন আইনগতভাবে তাকে পুরো এক বছর জেলেই থাকতে হবে।

পুরো ঘটনাটি কী?

মার্চ ২০২৫-এ রান্যা রাও যখন দুবাই থেকে কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বেঙ্গালুরুতে পৌঁছেছিলেন, তখন তিনি গ্রিন চ্যানেল দিয়ে বেরোনোর চেষ্টা করেছিলেন। এই চ্যানেলটি সেই যাত্রীদের জন্য যাদের কাছে ঘোষণা করার মতো কোনো শুল্কযোগ্য জিনিস নেই। যদিও, রান্যার আচরণে ডিআরআই (Directorate of Revenue Intelligence) আধিকারিকদের সন্দেহ হয়। 

মহিলা আধিকারিকরা যখন তার তল্লাশি নেন, তখন তার কাছ থেকে প্রায় ১২.৫৬ কোটি টাকা মূল্যের ১৪.২ কিলোগ্রাম সোনা উদ্ধার হয়। তৎক্ষণাৎ রান্যা রাওকে আটক করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে বৈদেশিক মুদ্রা এবং চোরাচালান প্রতিরোধ আইন (COFEPOSA)-এর অধীনে মামলা দায়ের করা হয়।

জামিনের চেষ্টা ব্যর্থ

এর আগে ২০ মে ২০২৫-এ আদালত রান্যা রাও এবং তার সহযোগী অভিযুক্ত তরুণ রাজুকে দুই লক্ষ টাকার বন্ড এবং কঠোর জামিনের শর্তে জামিন দিয়েছিল, কারণ রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদপ্তর (DRI) অভিযোগপত্র দাখিল করতে দেরি করছিল। তবে, তা সত্ত্বেও রান্যা এবং তার সঙ্গীকে হেফাজত থেকে মুক্তি দেওয়া যায়নি, কারণ তাদের উপর COFEPOSA-এর অধীনে প্রতিরোধমূলক আটকাদেশ (Preventive Detention Order) জারি ছিল। এই আইনের অধীনে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার আগেই তাকে এক বছর পর্যন্ত কারাগারে রাখা যেতে পারে, যদি তাদের চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে দৃঢ় সন্দেহ থাকে।

কে এই রান্যা রাও?

রান্যা রাও কর্ণাটকের চিকমাগালুরের বাসিন্দা এবং তিনি কর্ণাটক পুলিশের প্রাক্তন ডিজিপি (DGP) রামচন্দ্র রাওয়ের মেয়ে। তিনি বেঙ্গালুরুর দয়ানন্দ সাগর কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে তার পড়াশোনা শেষ করেছেন। রান্যা রাও ২০১৪ সালে সুপারস্টার সুদীপের সঙ্গে 'মাণিক্য' সিনেমার মাধ্যমে তার চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন।

এরপর তিনি 'पटाकी' এবং 'ওয়াঘা'র মতো সিনেমাতেও কাজ করেছেন। রান্যা রাওকে সাউথ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে একজন উদীয়মান অভিনেত্রী হিসেবে গণ্য করা হত, কিন্তু সোনার চোরাচালানে নাম আসার পরে তার ভাবমূর্তিতে বড় ধাক্কা লেগেছে।

জেলে কাটাতে হবে পুরো এক বছর

এখন আদালতের আদেশ অনুযায়ী, রান্যা রাওকে এক বছর জেলে থাকতে হবে এবং এই সময়ে তিনি জামিনের কোনো অধিকার পাবেন না। COFEPOSA আইন খুবই কঠোর এবং এর অধীনে অভিযুক্তকে না মুক্তি দেওয়া হয়, না জামিনের ছাড় মেলে। আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মামলায় রান্যা রাওয়ের পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা হতে পারে, কিন্তু যতক্ষণ না COFEPOSA-এর আদেশ বাতিল হয়, ততক্ষণ তাকে ১ বছর জেলেই থাকতে হবে।

Leave a comment