কাঁটি থানার হাজতে শিবম কুমারের মৃতদেহ ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসীরা হাঙ্গামা করে ভাঙচুর করেছে। পুলিশ ১৫০ অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
মুজফ্ফরপুর নিউজ: কাঁটি থানার হাজতে ৫ ফেব্রুয়ারী কলাওয়ারী निবাসী শিবম কুমার alias আনন্দ কুমারের মৃতদেহ ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। পুলিশের দাবি, যুবকটি আত্মহত্যা করেছে, অন্যদিকে আত্মীয়স্বজনরা হত্যার অভিযোগ তুলেছে। ৬ ফেব্রুয়ারী পরিবারের লোকজনকে ঘটনার খবর দেওয়া হয়, যার পর পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে।
থানার বাইরে ভিড় জমে হাঙ্গামা ও পথরাগুড়ি
ঘটনায় ক্ষোভে শিবমের আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসীসহ প্রায় ১৫০ জন থানার বাইরে জড়ো হয়। প্রতিবাদকারীরা পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে নারা-বাজি করে এবং কিছু দুর্বৃত্ত পথরাগুড়ি শুরু করে। ভিড় থানা परिसরের ভাঙচুর করে, যার ফলে টেবিল-চেয়ার, কাচ, ওয়াটার আরও সিস্টেম এবং ওয়্যারলেস সেট ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
থানার অধ্যক্ষের মারধর, পুলিশ কর্মীরা আহত
হাঙ্গামার সময় কিছু লোক কাঁটি থানার অধ্যক্ষ সুধাকর পাণ্ডেয়কে মারধর করে। এই আক্রমণে কয়েকজন পুলিশ কর্মীও আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ডিএম ও এসএসপিকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। বেশ কিছুক্ষণ বুঝিয়ে শান্ত করা হয় ভিড়কে।
পুলিশ ১৫০ অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে
থানায় হামলা এবং সরকারি সম্পত্তির ক্ষতির অভিযোগে পুলিশ ১৫০ অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। প্রাথমিকী পিএসআই শিব শঙ্কর সিংহের বयाন অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে, যেখানে পুলিশের উপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা দেওয়া এবং সম্পত্তির ক্ষতি যেসব গুরুতর ধারা আছে তা উল্লেখ করা হয়েছে।
সিসিটিভি ফুটেজ থেকে দুর্বৃত্তদের শনাক্তকরণে ব্যস্ত পুলিশ
পুলিশ এখন সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে। হাঙ্গামা ও ভাঙচুরের ঘটনা ক্যামেরায় ধরা পড়েছে, যা পুলিশকে দোষীদের শনাক্ত করতে সাহায্য করবে।
থানার অধ্যক্ষসহ তিন পুলিশ কর্মী সাসপেন্ড
পরিস্থিতি বেড়ে যাওয়ায় এসএসপি সুশীল কুমার কাঁটি থানার অধ্যক্ষ সুধাকর পাণ্ডেয়সহ তিন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করে দিয়েছেন। মৃতের আত্মীয়স্বজনরা পুলিশের উপর হেফাজতে মারধর এবং ছাড়ার বিনিময়ে টাকা চাওয়ার অভিযোগও করেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।