কথা-বক্তা জয়া কিশোরী ও অনুগ্রহচার্য মহারাজের বিপুল পারিশ্রমিক: প্রকাশ্যে এলো আয়ের পরিমাণ

কথা-বক্তা জয়া কিশোরী ও অনুগ্রহচার্য মহারাজের বিপুল পারিশ্রমিক: প্রকাশ্যে এলো আয়ের পরিমাণ

কথা-বক্তা জয়া কিশোরী এবং অনুগ্রহচার্য মহারাজ দেশ-বিদেশে বিখ্যাত। জয়া কিশোরীর একটি কাহিনীর জন্য ফিস ৯.৫ লক্ষ টাকা, যেখানে অনুগ্রহচার্যীর ৭ দিনের কাহিনীর জন্য ফিস ৭-২১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

লখনউ: আজকের সময়ে কথা-বক্তা এবং মোটিভেশনাল স্পিকারদের গুরুত্ব বাড়ছে। এমনই দুই ব্যক্তিত্ব হলেন – ৩৬ বছর বয়সী অনুগ্রহচার্য মহারাজ এবং ৩০ বছর বয়সী জয়া কিশোরী। দুজনের নামই কেবল দেশে নয়, বিদেশেও ভক্ত ও অনুগামীদের মধ্যে জনপ্রিয়। তাঁদের অনুষ্ঠান এবং সোশ্যাল মিডিয়া ফলোয়ারের সংখ্যা লক্ষ লক্ষ।

কাহিনী-বক্তৃতার জন্য মোটা ফিস

মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, জয়া কিশোরী একটি কাহিনী-অনুষ্ঠানের জন্য প্রায় সাড়ে ৯ লক্ষ টাকা চার্জ করেন। এর মধ্যে ৪ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা অগ্রিম নেওয়া হয়, বাকি টাকা কাহিনী শেষ হওয়ার পর নেওয়া হয়। জয়া কিশোরী তাঁর কাহিনী এবং মোটিভেশনাল বক্তব্যের মাধ্যমে মানুষকে জীবনের দর্শন বোঝান এবং তাদের অনুপ্রাণিত করেন।

অনুগ্রহচার্য মহারাজও তাঁর प्रवचन-এর জন্য মোটা ফিস নেন। একটি কাহিনী-অনুষ্ঠানের জন্য তিনি প্রতিদিন ১ থেকে ৩ লক্ষ টাকা চার্জ করেন, এবং তাঁর কাহিনী সাধারণত অন্তত সাত দিন ধরে চলে।

অনুগ্রহচার্যীর জীবন ও ধর্ম সেবা

অনুগ্রহচার্যীর জন্ম ২৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৯ সালে, এবং তাঁর আসল নাম অনুগ্রহ রাম তিওয়ারি। তিনি প্রধানত হিন্দু ধর্মগ্রন্থ, বিশেষ করে ভাগবত পুরাণ-এর উপর ভিত্তি করে प्रवचन-এর জন্য পরিচিত। বৃন্দাবনের গৌরীগোপাল আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা অনুগ্রহচার্য, বৃদ্ধদের যত্ন, খাদ্য বিতরণ এবং পশু কল্যাণের মতো দাতব্য সেবার জন্যও বিখ্যাত।

৩৬ বছর বয়সে অনুগ্রহচার্য নাম, খ্যাতি এবং আর্থিক সমৃদ্ধি উভয়ই অর্জন করেছেন। তাঁর অনুগামীরা তাঁর प्रवचन, দাতব্য কাজ এবং সমাজ সেবার কারণে তাঁকে অত্যন্ত সম্মান করেন।

স্ত্রী আরতি তিওয়ারিও ধর্ম ও ভজন গানে সক্রিয়

অনুগ্রহচার্যীর স্ত্রী আরতি তিওয়ারিও সমাজ সেবা এবং ভজন গানে সক্রিয়। তিনি রাধা-কৃষ্ণের ভক্তিতে মগ্ন হয়ে ভজন গান এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ভিডিও শেয়ার করতে থাকেন। আরতি তিওয়ারি প্রায়শই তাঁর স্বামীর সাথে পূজা এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তাঁদের দুই সন্তানও আছে, এবং পরিবার প্রায়শই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের ছবি শেয়ার করে।

জয়া কিশোরী ধর্ম, ভজন এবং সমাজ সেবায় সক্রিয়

অন্যদিকে, জয়া কিশোরীর জন্ম ১৩ জুলাই, ১৯৯৫ সালে। তিনি দেশজুড়ে শ্রীমদ্ভাগবত গীতা এবং অন্যান্য ধর্মীয় গ্রন্থের পাঠ করেন। একই সাথে তিনি একজন মোটিভেশনাল স্পিকার এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তরুণদের অনুপ্রাণিত করেন।

জয়া কিশোরীর ভজন এবং प्रवचन ইন্টারনেটে ভাইরাল হতে থাকে। রিপোর্ট অনুসারে, কাহিনী থেকে উপার্জনের একটি বড় অংশ তিনি নারায়ণ সেবা সংস্থানকে দান করেন। এই সংস্থাটি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের যত্ন ও সেবার জন্য পরিচিত। এছাড়াও জয়া কিশোরী ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ এবং বৃক্ষরোপণের মতো সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্যও দান করেন।

সোশ্যাল মিডিয়া ফ্যান ফলোয়িং

অনুগ্রহচার্য এবং জয়া কিশোরী উভয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় অত্যন্ত সক্রিয়। তাঁদের ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউব চ্যানেলে লক্ষ লক্ষ মানুষ তাঁদের ভজন, प्रवचन এবং মোটিভেশনাল ভিডিও দেখেন। তাঁদের ফলোয়ার কেবল ভারতেই নয়, বিদেশেও উপস্থিত।

উভয়েই ধর্মীয় শিক্ষা, জীবনের দর্শন এবং সমাজ সেবার জন্য পরিচিত। যেখানে অনুগ্রহচার্য তাঁর আশ্রম এবং দাতব্য কার্যকলাপের জন্য পরিচিত, সেখানে জয়া কিশোরী তরুণদের মধ্যে অনুপ্রেরণা এবং ধর্মের প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

Leave a comment