গोंডায় কেন্দ্রীয় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং-এর সমস্যা বাড়ছে। পুরোনো স্ট্যাম্প পেপারে পিছনের তারিখে দলিল করা এবং জমির মালিককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এমপি-এমএলএ আদালত কীর্তি বর্ধন সিং, তাঁর প্রতিনিধি রাজেশ সিং সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছে।
উত্তর প্রদেশ: কেন্দ্রীয় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী এবং গোন্ডা থেকে বিজেপি সাংসদ কীর্তি বর্ধন সিং-এর আইনি জটিলতা বাড়ল। উত্তর প্রদেশের গোন্ডা জেলায় অবস্থিত এমপি-এমএলএ আদালত মন্ত্রী এবং তাঁর চার সহযোগীর বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও হুমকির অভিযোগে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছে। এই নির্দেশ সেই সময় এসেছে যখন স্থানীয় বাসিন্দা অজয় সিং আদালতে একটি আবেদন করে অভিযোগ করেছেন যে মন্ত্রী ও তাঁর প্রতিনিধিরা তাঁর স্ত্রীর জমি প্রতারণার মাধ্যমে পুনরায় দলিল করিয়ে নিয়েছেন এবং অভিযোগ করলে তাঁকে হুমকি দিয়েছেন।
ঘটনাটি কী?
অজয় সিং, যিনি গোন্ডার মনকাপুর থানা এলাকার ভিঠৌরা গ্রামের বাসিন্দা, আদালতে ১৭৩ (৪) বিএনএস-এর অধীনে আবেদন দাখিল করেছেন। তাঁর বক্তব্য, তাঁর স্ত্রী মনীষা সিং-এর জমি ইতিমধ্যেই বিধিবদ্ধভাবে দলিলভুক্ত ছিল, কিন্তু মন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং, তাঁর প্রতিনিধি রাজেশ সিং এবং অন্যান্য অভিযুক্ত সহদেব যাদব, পিঙ্কু এবং কান্তি সিং পুরোনো স্ট্যাম্প পেপার ব্যবহার করে পিছনের তারিখে একটি জাল দলিল তৈরি করেছেন।
আবেদনকারী অভিযোগ করেছেন যে যখন তিনি এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন এবং অভিযোগ দায়ের করেন, তখন অভিযুক্তরা তাঁকে প্রাণে মারার এবং অন্যান্য মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয়।
আদালতের কড়া মন্তব্য ও নির্দেশ
এমপি-এমএলএ আদালত বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে মনকাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছে যে: অবিলম্বে এই বিষয়ে এফআইআর দায়ের করতে হবে। ১৫ দিনের মধ্যে মামলার পরিস্থিতি এবং প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে। আদালতের বক্তব্য ছিল যে জমি সংক্রান্ত জালিয়াতি ও হুমকির মতো গুরুতর মামলায় পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি, যাতে বিচারিক প্রক্রিয়ায় বিলম্ব না হয় এবং ক্ষতিগ্রস্ত সময় মতো ন্যায়বিচার পায়।
কীর্তি বর্ধন সিং বর্তমানে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)-র সাংসদ এবং বিদেশ প্রতিমন্ত্রীর পদে কর্মরত। এই ধরনের গুরুতর অভিযোগ শুধুমাত্র তাঁর রাজনৈতিক ভাবমূর্তিকেই প্রভাবিত করতে পারে না, বরং আসন্ন নির্বাচনী সমীকরণেও প্রভাব ফেলতে পারে। বিরোধী দলগুলি ইতিমধ্যেই এই বিষয়টিকে একটি ইস্যু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে যে এই ঘটনা আগামী দিনে একটি বড় রাজনৈতিক বিতর্কের সৃষ্টি করতে পারে।
গন্ডায় বাড়ল রাজনৈতিক উত্তাপ
- এই ঘটনা সামনে আসার পর গোন্ডা জেলায় রাজনৈতিক তৎপরতা বেড়েছে।
- বিজেপি সমর্থকদের ধারণা, এই অভিযোগ রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারে।
- অন্যদিকে বিরোধীরা এটিকে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের উদাহরণ হিসেবে দেখছে।
পুরোনো তারিখে দলিল করা এবং নথিপত্রের সঙ্গে কারচুপি করা গুরুতর অপরাধ। এতে দোষী সাব্যস্ত হলে জালিয়াতি (Forgery), প্রতারণা (Cheating) এবং অপরাধমূলক হুমকি (Criminal Intimidation) এর মতো ধারায় কঠোর শাস্তি হতে পারে।