নিরাপত্তা ব্যবস্থা: শুক্রবার দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশনে এক ছাত্রকে ছুরি দিয়ে খুনের ঘটনার পর কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দক্ষিণেশ্বর থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম পর্যন্ত ১০০ জন জওয়ানের বদলে ৮০০ জন জওয়ান মোতায়েন করা হবে। এছাড়া প্রতিটি স্টেশনে মেটাল ডিটেক্টর ও লাগেজ স্ক্যানিং মেশিন বসানো হবে। লক্ষ্য হচ্ছে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা।
ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ
শুক্রবার দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশনে টিকিট কাউন্টারের সামনে দুই ছাত্রের মধ্যে সংঘর্ষের সময় একজন ব্যাগ থেকে ছুরি বের করে সহপাঠীর গলায় চালিয়ে দেয়। আহত ছাত্রকে সাগর দত্ত হাসপাতালে নেওয়া হলেও চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অভিযুক্ত ছাত্রকে রাতেই হাওড়া স্টেশন থেকে দক্ষিণেশ্বর থানার পুলিশ গ্রেফতার করে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের পরিকল্পনা
ঘটনার পরই মেট্রো কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয়, দক্ষিণেশ্বর থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম পর্যন্ত ১০০ জন আরপিএফ জওয়ানের পরিবর্তে ৮০০ জন জওয়ান মোতায়েন করা হবে। এছাড়া প্রতিটি স্টেশনে প্রবেশদ্বারে মেটাল ডিটেক্টর, লাগেজ স্ক্যানিং মেশিন এবং অন্যান্য নিরাপত্তা পরিকাঠামো আরও দৃঢ়ভাবে বসানো হবে।
যাত্রীদের উদ্বেগ ও দাবি
মেট্রো যাত্রীরা নিরাপত্তার অভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এক যাত্রী বলেন, “মনে তো একটা আতঙ্ক আছে। যে ঘটনার সঙ্গে হয়েছে, সেটা আজ আমার সঙ্গেও হতে পারে। নিরাপত্তা আরও বাড়ানো উচিত।” এ ঘটনার পর যাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া
কলকাতা মেট্রোর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিরাপত্তা জোরদারের মাধ্যমে ভবিষ্যতে এমন ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি এড়ানো হবে। প্রতিটি স্টেশনে আধুনিক স্ক্যানিং প্রযুক্তি বসানো হবে এবং মোতায়েন করা জওয়ানদের সংখ্যা বাড়ানো হবে।কলকাতা মেট্রো স্টেশনে ছাত্র হত্যার ঘটনায় যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠার পর কর্তৃপক্ষ বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। ৮০০ জওয়ান মোতায়েন, মেটাল ডিটেক্টর ও লাগেজ স্ক্যানিং মেশিন স্থাপন করা হচ্ছে। যাত্রীদের নিরাপত্তা ও আশ্বাস নিশ্চিত করাই এখন প্রশাসনের মূল লক্ষ্য। যাত্রীদের জন্য নিরাপদ মেট্রো যাত্রা নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশনে ছাত্র হত্যা ঘটনার পর কলকাতা মেট্রো নিরাপত্তা আরও জোরদার করেছে। ১০০ জন আরপিএফ জওয়ানের বদলে এবার ৮০০ জন জওয়ান মোতায়েন করা হবে। প্রতিটি স্টেশনে মেটাল ডিটেক্টর ও লাগেজ স্ক্যানিং মেশিন বসানো হবে। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই মূল লক্ষ্য।