কলকাতার সোনারপুর–রাজপুরে ডেঙ্গি আতঙ্ক, দুইজনের মৃত্যু

কলকাতার সোনারপুর–রাজপুরে ডেঙ্গি আতঙ্ক, দুইজনের মৃত্যু

সোনারপুর–রাজপুর এলাকায় ডেঙ্গি সংক্রমণ বাড়ছে: চলতি মাসের ৬ তারিখে মারা যান বিপ্লব সর্দার (৪৫)। স্থানীয়রা জানান, রেনিয়া ক্ষুদিরাম সরণি ও আশপাশের এলাকায় জ্বর ও মশার প্রকোপ বেড়ে গেছে। পুরসভার স্বাস্থ্য দপ্তর ফিভার ক্লিনিক খোলা এবং নিকাশি ব্যবস্থা জোরদার করেছে।

ডেঙ্গি সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঘটনা

কলকাতার লাগোয়া সোনারপুর–রাজপুরের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে কয়েক দিনের ব্যবধানে একই পরিবারের দুইজন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। বিপ্লব সর্দার গত ৬ অক্টোবর, আর বন্দনা সর্দার শনিবার মৃত্যুবরণ করেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুজোর পর থেকে জ্বর ও মশার প্রকোপ বেড়ে গেছে, যার ফলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

স্থানীয় উদাসীনতা ও দায়-দায়িত্ব

রাজপুর–সোনারপুর পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার দেবব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন, এলাকার কিছু সেপটিক ট্যাংকের জল উপচে আশেপাশে জমে আছে। মানুষের অসচেতনতার কারণে ডেঙ্গি বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা পুরসভাকে দায়ী করছেন, অভিযোগ রয়েছে স্প্রে ও নিকাশি যথাযথ হয়নি।

স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও ফিভার ক্লিনিক

পুরসভার স্বাস্থ্য দপ্তরের সিআইসি রঞ্জিত মণ্ডল জানিয়েছেন, ফিভার ক্লিনিক খোলা হয়েছে এবং জ্বর আক্রান্তদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হচ্ছে। ড্রেনেজ ও মশা নিয়ন্ত্রণে নিকাশি ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া

ডেঙ্গি প্রতিরোধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে বিরোধীরা তৃণমূল পুরবোর্ডকে আক্রমণ করেছেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিজেপি নেতা সুনীপ দাস বলেছেন, সাধারণ মানুষ ডেঙ্গিতে মারা যাচ্ছেন, যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের। তিনি বলেন, সঠিক জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলে অন্তত প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হত।

কলকাতার নাকের ডগায় ডেঙ্গির হানা, সোনারপুর–রাজপুর পুরসভায় কয়েক দিনের ব্যবধানে একই পরিবারের দুই সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ড্রেনেজ ও মশা নিয়ন্ত্রণে উদাসীনতার কারণে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। পুরসভার স্বাস্থ্য দপ্তর ফিভার ক্লিনিক খোলার পাশাপাশি স্প্রে ও নিকাশি ব্যবস্থা জোরদার করেছে।

Leave a comment