সবজি বাজার দাম: বৃহস্পতিবার সকালে উত্তর কলকাতার শোভাবাজার, বাগবাজার ও জোড়াসাঁকো এলাকার বাজারে সরকারি টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা হানা দেন। তদন্তে দেখা যায়, একই মানের আনাজ এক দোকানে যেখানে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, অন্য দোকানে তার দাম ৬০ টাকা। শুধু পটল নয়, আলু, বেগুন, কাঁচালঙ্কাতেও একই তারতম্য। টাস্ক ফোর্স জানিয়েছে, এর পিছনে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি থাকতে পারে। ক্রেতারা জানিয়েছেন, উৎসবের মরশুমের আগে দামের এই ভেল্কিবাজি বন্ধ করতে প্রশাসনের কড়া নজরদারি জরুরি।
বাজারে একই আনাজের আলাদা দাম
টাস্ক ফোর্সের অভিযানে দেখা যায়, শোভাবাজারে পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজিতে, অথচ এক কিলোমিটার দূরের বাগবাজারে তার দাম ৬০ টাকা। একই অবস্থা আলু ও বেগুনের ক্ষেত্রেও। ফলে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত ও ক্ষুব্ধ।
ক্রেতাদের ক্ষোভ
স্থানীয় ক্রেতারা জানান, একই আলু এক দোকানে ১৮ টাকা, আরেক দোকানে ২২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তাঁদের বক্তব্য, সাধারণ মানুষের পকেট কাটতে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে করেই দামের এই অস্থিরতা তৈরি করছেন। তাঁরা সরকারের কাছে কড়া পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন।
ব্যবসায়ীদের ব্যাখ্যা
আনাজ বিক্রেতাদের একাংশ দাবি করেছেন, দামের এই ফারাক হচ্ছে মূলত পরিবহণ খরচ ও পাইকারি বাজারের ক্রয়মূল্যের পার্থক্যের জন্য। তবে টাস্ক ফোর্সের বক্তব্য, খুচরো বাজারে পাইকারি দামের থেকে ২০–২৫ শতাংশ বাড়তি দাম স্বাভাবিক, কিন্তু ৫০–৬০ শতাংশ বৃদ্ধি কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
প্রশাসনের সতর্কবার্তা
টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে জানিয়েছেন, দামে ভেল্কিবাজি চলতে থাকলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি, প্রতিটি দোকানে দামের তালিকা ঝুলিয়ে রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যাতে ক্রেতারা স্বচ্ছ তথ্য পান।
কলকাতার সবজি বাজার: উত্তর কলকাতার শোভাবাজার ও বাগবাজারে টাস্ক ফোর্সের অভিযানে ধরা পড়ল এক অদ্ভুত চিত্র। একই মানের আলু, পটল, বেগুন ও কাঁচালঙ্কা এক দোকানে এক দাম, আবার পাশের দোকানেই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। সাধারণ ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে সরকারের কাছে কড়া পদক্ষেপের দাবি তুলেছেন।