মঙ্গলবার লখনউগামী লখনউ সুপার ফাস্ট শাটল এক্সপ্রেসে যাত্রার সময় লোকো পাইলট অনিল কুমার রাও (৫৮ বছর) হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি বারাণসী থেকে একটি বৈঠকে যোগ দিতে রওনা হয়েছিলেন।
ঘটনাটি ঘটে যখন তিনি শৌচাগার থেকে বেরিয়ে আসেন। তার অবস্থা হঠাৎ গুরুতর হয়ে ওঠে এবং তিনি পড়ে যান। রেলওয়ে কন্ট্রোল রুমে খবর পৌঁছানো মাত্র জিআরপি (GRP) ও আরপিএফ (RPF)-এর দল সক্রিয় হয়ে ওঠে। ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে থামতেই তাকে স্থানীয় স্টেশন থেকে অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে হাসপাতালে পৌঁছানোর পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাপ্ত পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে তার পরিবারের সদস্যদের এই মর্মান্তিক ঘটনার খবর জানানো হয়।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ স্পষ্ট হবে।
সম্ভাব্য কারণ ও তদন্ত
যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে বুকে ব্যথাকে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ঘটনাটি রেল কর্মীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার প্রতি সচেতনতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।
পরিবারের প্রতিক্রিয়া
মৃতের পুত্র, সৌরভ কুমার রাও, জানিয়েছেন যে তার বাবা লখনউতে আয়োজিত একটি বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। তার অকাল মৃত্যু পরিবারকে গভীর শোকের মধ্যে ফেলেছে।
উপসংহার
লোকো পাইলট অনিল কুমার রাওয়ের অকাল মৃত্যু কেবল একটি ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি নয়, এটি রেল কর্মীদের কাজের পরিস্থিতি এবং সুরক্ষা ব্যবস্থার পর্যালোচনার প্রয়োজনীয়তাকেও তুলে ধরে। রেলওয়ে বিভাগের উচিত এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে কর্মীদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের প্রতি তাদের দায়িত্বকে অগ্রাধিকার দেওয়া।