সুলতানপুরের জয়সিংহপুর মিয়াগঞ্জে একটি ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে, যাতে তিনটি বাড়ি ধ্বংস এবং ১২ জন আহত হয়েছে। পুলিশ ও দমকল বাহিনী উদ্ধারকার্য চালিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে এটি অবৈধ বাজি থেকে সৃষ্ট বিস্ফোরণ বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সুলতানপুর: উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরের জয়সিংহপুর কোতোয়ালি এলাকার মিয়াগঞ্জ বাজারে বুধবার সকাল ৪:৪০ মিনিটে একটি ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এই বিস্ফোরণে তিনটি বাড়ি সম্পূর্ণ ধূলিসাৎ হয়ে যায় এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে ১২ জন আহত হন।
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ, দমকল বাহিনী এবং অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আহতদের অবিলম্বে জয়সিংহপুর কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে (সিএইচসি) নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তাদের চিকিৎসা চলছে। প্রাথমিক তদন্তে এই বিস্ফোরণটি অবৈধ বাজি এবং বারুদের সাথে সম্পর্কিত বলে জানা গেছে।
বিস্ফোরণে নাজির ও পরিবার গুরুতর আহত
ঘটনায় নাজির (৬৫), তার স্ত্রী জামাতুল নিশা (৬২), ছেলে নূর মোহাম্মদ (২৫), সুহেল (১৭), সাদা (১২), মেয়ে খুশি (১৫), সাহানা (২০) সহ প্রতিবেশী আবদুল হামিদের পরিবারের সদস্য ফয়জান (৮) এবং কাইফ (২২) আহত হন। প্রতিবেশীর বাড়িটিও বিস্ফোরণে গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন যে নাজির আগে বিয়ে এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানের জন্য আতশবাজি তৈরি করতেন। যদিও তার লাইসেন্স পরে বাতিল করা হয়েছিল। এর ফলে এই আশঙ্কা করা হচ্ছে যে বাড়িতে এখনও অবৈধ বাজি বা বারুদ মজুত ছিল।
পুলিশ ও দমকল বাহিনী উদ্ধারকার্য শুরু করেছে
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ, দমকল বাহিনী এবং স্বাস্থ্য বিভাগের দল অবিলম্বে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। দমকল বাহিনী আগুন এবং বারবার বিস্ফোরণের আশঙ্কা দেখে উদ্ধারকার্য চালায়। আহতদের অবিলম্বে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
পুলিশ এলাকাটি ঘিরে ফেলে এবং অন্য কোনো সম্ভাব্য বিপদ রোধ করতে আশেপাশের লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে দেয়। প্রাথমিক তদন্তে বিস্ফোরণের কারণ উদঘাটনের জন্য একটি দল গঠন করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে বিস্ফোরণ অবৈধ বাজি সংক্রান্ত
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে বিস্ফোরণটি অবৈধ বাজি বা বারুদ সংরক্ষণের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। বিস্ফোরণস্থল থেকে পাওয়া সুতলি বোমা এবং বারুদের গন্ধ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে অবিলম্বে ত্রাণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এছাড়াও, আশেপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। প্রশাসন সতর্ক করেছে যে ভবিষ্যতে এই ধরনের অবৈধ কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।