লখনউ-এর হোটেলে ৪০ জন ঠাকুর বিধায়ক ও এমএলসি-র জমায়েত। ‘কুটুম্ব পরিবার’ বৈঠকে শাসক ও বিরোধী দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এই আয়োজন নিয়ে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন এবং শক্তি প্রদর্শন নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে।
UP News: উত্তর প্রদেশের রাজধানী লখনউতে ক্ষত্রিয় সম্প্রদায়ের ৪০ জন বিধায়ক ও এমএলসি একসঙ্গে মিলিত হয়েছিলেন। ‘কুটুম্ব পরিবার’ নামে আয়োজিত এই বৈঠক নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা ধরনের আলোচনা শুরু হয়েছে। শাসক দল এবং বিরোধী দল উভয়ের ঠাকুর নেতারা এতে অংশ নেওয়ায় এর রাজনৈতিক তাৎপর্য রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
পাঁচতারা হোটেলে ‘কুটুম্ব পরিবার’-এর বৈঠক
লখনউ-এর একটি পাঁচতারা হোটেলে সোমবার ৪০ জনের বেশি বিধায়কের বৈঠক হয়, যেটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘কুটুম্ব পরিবার’। এই বৈঠকে অধিকাংশ বিধায়ক ছিলেন ক্ষত্রিয় সমাজের। এই আয়োজনের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র খাওয়া-দাওয়া ও আলাপ-আলোচনার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না, ‘কুটুম্ব পরিবার’ নামে একটি WhatsApp গ্রুপও তৈরি করা হয়েছে। এতে বিজেপি, সপা এবং বিএসপি-র ঠাকুর বিধায়কদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আয়োজনকারীদের ভূমিকা
এই বৈঠকের আমন্ত্রণ পাঠিয়েছিলেন বিজেপির এমএলসি জয়পাল সিং ব্যস্ত এবং মুরাদাবাদের কুন্দরকি থেকে বিধায়ক ঠাকুর রামবীর সিং। সপা-র বিদ্রোহী ক্ষত্রিয় বিধায়ক রাকেশ প্রতাপ সিং এবং অভয় সিংও এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন, যদিও তাঁরা প্রকাশ্যে নিজেদের সামনে আনেননি। এই আয়োজনে অন্য জাতির কিছু বিধায়কও ছিলেন, তবে তিন ডজনের বেশি অংশগ্রহণকারী ছিলেন ঠাকুর সমাজের।
এই প্রথম এত বড় ঠাকুরদের ঐক্য
যোগী সরকার গঠনের পর এই প্রথম এত বেশি সংখ্যক ঠাকুর বিধায়ক এক মঞ্চে এলেন। বিরোধী এবং শাসক দলের বিধায়কদের একসঙ্গে এই ভাবে মিলিত হওয়া রাজনৈতিক মহলে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক বিশেষজ্ঞ এটিকে ক্ষত্রিয় সমাজের রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা হিসেবে দেখছেন।
বৈঠকে অংশ নেওয়া সকল বিধায়ককে বিশেষভাবে সম্মানিত করা হয়। তাঁদের ভগবান শ্রীরামের মূর্তি, মহারানা প্রতাপের ছবি এবং পিতলের ত্রিশূল উপহার দেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপ শুধু সাংস্কৃতিক পরিচয়কেই তুলে ধরে না, রাজনৈতিক বার্তাও দেয়।
বৈঠকের পেছনের চিত্রনাট্য
সূত্রের খবর অনুযায়ী, বৈঠকের পটভূমি তৈরি করেছিলেন সপা-র বিদ্রোহী বিধায়ক রাকেশ প্রতাপ সিং এবং অভয় সিং। যদিও এটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপি নেতাদের দ্বারা আয়োজিত অনুষ্ঠান হিসেবে দেখানো হয়েছে। এই কৌশলের ফলে বিরোধী এবং শাসক দলের ঠাকুর বিধায়কদের একই মঞ্চে আনা সহজ হয়েছে।