মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে নতুন রাজনৈতিক তৎপরতা শুরু হয়েছে, যেখানে মহাবিকাশ আঘাড়ির দুই প্রধান নেতা দিল্লিতে আলাদা আলাদা পদক্ষেপ নিয়েছেন। উদ্ধব ঠাকরে কেন্দ্র সরকারের ওপর কড়া আক্রমণ করেছেন, যেখানে তাঁর সহযোগী সুপ্রিয়া সুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন, যা জোটের ঐক্যবদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
Maharashtra: রাজনীতিতে রাজনৈতিক কার্যকলাপ নতুন মোড় নিয়েছে। দিল্লিতে মহাবিকাশ আঘাড়ির প্রধান উদ্ধব ঠাকরে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে কেন্দ্র সরকারের সমালোচনা করেছেন, वहीं তাঁর সহযোগী সুপ্রিয়া সুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেছেন। এই পরস্পরবিরোধী ঘটনা মহাবিকাশ আঘাড়ির স্থিতিশীলতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। এরই মধ্যে উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ রাজনৈতিক আলোচনাকে আরও গভীর করছে। এই ঘটনাগুলি থেকে স্পষ্ট যে রাজ্যে উপরিতলে শান্তি বজায় থাকলেও অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে গভীর পরিবর্তন ঘটছে।
উদ্ধব ঠাকরের কড়া আক্রমণ এবং ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক
দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে অংশ নিয়ে শিবসেনা (ইউবিটি) প্রধান উদ্ধব ঠাকরে কেন্দ্র সরকারের নীতির সমালোচনা করে কড়া আক্রমণ করেছেন। তিনি মহাবিকাশ আঘাড়ির শক্তি বজায় রাখার ওপর জোর দিয়েছেন এবং কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন নীতিকে জনগণের স্বার্থের পরিপন্থী বলে উল্লেখ করেছেন। এই বৈঠক মহাবিকাশ আঘাড়ির মধ্যে রাজনৈতিক সমন্বয় এবং আসন্ন নির্বাচনী কৌশল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়েছে।
সুপ্রিয়া সুলের প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং রাজনৈতিক আলোচনা
সুপ্রিয়া সুলের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দুপুরে সাক্ষাৎ রাজনৈতিক মহলে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে যখন তাঁর রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা এই সাক্ষাৎকে একটি ইঙ্গিতপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন, যা মহাবিকাশ আঘাড়ির মধ্যেকার মতভেদকে তুলে ধরে। এছাড়াও, উদ্ধব ঠাকরের দলের রাজ্যসভার সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন, যাকে আনুষ্ঠানিক বলা হয়েছে, কিন্তু সময় এবং পরিস্থিতি বিবেচনা করে এটিকে স্বাভাবিক বলে মনে করা হচ্ছে না।
একনাথ শিন্ডের দিল্লি যাত্রা এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা
মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেও দিল্লিতে সক্রিয় ছিলেন, যেখানে তিনি তাঁর পরিবারের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এছাড়াও, তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সকল সাংসদের সামনে বিশেষ আলোচনা করেছেন। সূত্র মারফত জানা গেছে, শিন্ডে এই সময় রাজ্যে বাড়তে থাকা রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। শিন্ডে এবং মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের মধ্যে বাড়তে থাকা মতভেদের মধ্যে তাঁর দিল্লি যাত্রা রাজনৈতিক গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
राष्ट्रवादी কংগ্রেসের নরম মনোভাব এবং মহাবিকাশ আঘাড়ির ঐক্যবদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন
राष्ट्रवादी কংগ্রেস পার্টির নেত্রী সুপ্রিয়া সুলে এর আগেও কেন্দ্র সরকারের প্রতি নরম মনোভাব পোষণ করেছেন। সম্প্রতি पहलगाम জঙ্গি হামলার পর তিনি কেন্দ্রের নীতির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছিলেন। वहीं, शरद पवार-ও অনেক ক্ষেত্রে পরোক্ষভাবে কেন্দ্রকে সমর্থন করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে যখন উদ্ধব ঠাকরে কেন্দ্র সরকারের ওপর তীব্র আক্রমণ করছেন এবং তাঁর সহযোগী সুপ্রিয়া সুলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন, তখন মহাবিকাশ আঘাড়ির ঐক্যবদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন আরও গভীর হচ্ছে।
ইন্ডিয়া জোটে বাড়ছে রাজনৈতিক তৎপরতা
এই ঘটনার পর ইন্ডিয়া জোটেও রাজনৈতিক তৎপরতা বেড়ে গেছে। অনেক নেতা এই বিতর্কিত সময় নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন, যার ফলে মহাবিকাশ আঘাড়ির স্থিতিশীলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। উদ্ধব ঠাকরের কেন্দ্র সরকারের ওপর তীব্র আক্রমণ, সুপ্রিয়া সুলের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ, একনাথ শিন্ডে পরিবারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎ এবং প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীর সৌজন্য সাক্ষাৎ ইঙ্গিত দেয় যে মহারাষ্ট্রের রাজনীতি উপরিতলে শান্ত থাকলেও গভীর পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, আগামী নির্বাচনে মহাবিকাশ আঘাড়ির ঐক্যবদ্ধতা বজায় থাকে নাকি নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সামনে আসে।