রাহুল গান্ধী বেঙ্গালুরু সেন্ট্রালের মহাদেবপুরা অঞ্চলে এক লক্ষ ভোট চুরির অভিযোগ করেছেন, যেখানে কংগ্রেস কখনো জেতেনি। কংগ্রেস ২০২৪ সালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করলেও হেরে যায়। এর আগেও এখানে ভোটার ডেটা নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। এখন রাহুল গান্ধী বিক্ষোভ করে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে নির্বাচনী কারচুপির অভিযোগ করছেন।
রাহুল গান্ধী: লোকসভা নির্বাচন ২০২৪-এর ফলাফলের পর কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল লোকসভা কেন্দ্রে ভোটদানে ব্যাপক কারচুপি এবং ‘ভোট চুরি’র অভিযোগ করেছেন। তিনি বিশেষভাবে মহাদেবপুরা বিধানসভা ক্ষেত্রের নাম উল্লেখ করে দাবি করেছেন যে এখানে ১ লক্ষেরও বেশি জাল ভোট হয়েছে, যার ফলে বিজেপি জিতেছে। কিন্তু এই আসনটি কখনোই কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি ছিল না। এমতাবস্থায় প্রশ্ন উঠছে — এই অভিযোগ কি পরাজয়ের হতাশা থেকে উৎসারিত, নাকি এর পিছনে সত্যিই কোনো ठोस ভিত্তি আছে?
কংগ্রেসের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ
রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছেন যে বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল আসনের অন্তর্গত মহাদেবপুরা অঞ্চলে ৩.২৫ লক্ষ ভোটারের মধ্যে প্রায় ১ লক্ষ ভোটের কারচুপি করা হয়েছে। তিনি দাবি করেছেন যে নির্বাচন কমিশন এবং বিজেপি একসঙ্গে এখানে নির্বাচনকে প্রভাবিত করেছে, যার ফলে কংগ্রেস প্রার্থী মনসুর আলি খানের সম্ভাব্য জয় পরাজয়ে পরিবর্তিত হয়েছে।
রাহুল গান্ধী এই অভিযোগের সমর্থনে পরিসংখ্যান উল্লেখ করে বলেছেন যে কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ দল মহাদেবপুরার ভোটার তালিকা গভীরভাবে বিশ্লেষণ করেছে এবং তাতে গরমিলের জোরালো প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই সূত্র ধরে তিনি শুক্রবার বেঙ্গালুরুতে বিক্ষোভের নেতৃত্বও দেবেন।
মহাদেবপুরার রাজনৈতিক ইতিহাস
মহাদেবপুরা বিধানসভা আসনটি ২০০৮ সালে গঠিত হয়েছিল এবং এটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত কংগ্রেস এখানে কখনো জয়লাভ করতে পারেনি। বিজেপির वरिष्ठ नेता অরবিন্দ লিম্বাভালি लगातार তিনবার (২০০৮, ২০১৩, ২০১৮) এখান থেকে জিতেছেন। ২০২৩ সালে তাঁর স্ত্রী মঞ্জুলা লিম্বাভালি এই আসন থেকে বিজেপির পতাকা পুনরায় উড়িয়েছেন।
লোকসভা নির্বাচনেও বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল আসনে কংগ্রেস কখনো সাফল্য পায়নি। ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিজেপির পিসি মোহন लगातार चारবার এই আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। যদিও, ২০২৪ সালে मुकाबला খুবই करीबी था এবং जीत का अंतर महज ৩২,৭০৭ ভোটের ছিল। মনসুর আলি খান নির্বাচনের शुरुआती रुझানে ৮০,০০০-এর বেশি ভোটে এগিয়ে ছিলেন, लेकिन अंतिम नतीजों में बाजी बीजेपी ने मारी।
অভিযোগের পটভূমিতে 'চিলুমে গ্রুপ' বিতর্ক
মহাদেবপুরাকে নিয়ে কংগ্রেসের সন্দেহ নতুন নয়। ২০২২ সালে এখানকার ভোটার তালিকা নিয়ে একটি বড় বিতর্ক সামনে এসেছিল। বিবিএমপি (বৃহৎ বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকে) মহাদেবপুরা সহ তিনটি অঞ্চলে ভোটার ডেটা সংগ্রহের কাজ 'চিলুমে গ্রুপ' নামক একটি বেসরকারি সংস্থাকে দিয়েছিল।
কংগ্রেস অভিযোগ করেছে যে এই সংস্থা বিজেপির নির্দেশে কাজ করে ভোটার তালিকায় কারচুপি করেছে। বিষয়টি বাড়াবাড়ি হলে নির্বাচন কমিশন তদন্তের নির্দেশ দেয় এবং আইএএস অফিসার অমলান বিশ্বাস রিপোর্ট দেন যে কোনো ধরনের জালিয়াতি বা কারচুপি হয়নি। যদিও, কংগ্রেস এই সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট ছিল না এবং এখন যখন বেঙ্গালুরু সেন্ট্রালে তারা খুব কম ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে, তখন তারা আবারও মহাদেবপুরার উল্লেখ করে নির্বাচনী কারচুপির অভিযোগ दोहराए हैं।
এটা কি পরাজয়ের হতাশা?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, রাহুল গান্ধীর মহাদেবপুরাকে টার্গেট করা কেবল প্রযুক্তিগত বিষয় নয়, এর রাজনৈতিক অর্থও রয়েছে। বিজেপি যেখানে लगातार এই অঞ্চলে अपना दबदबा बनाए हुए है, वहीं कांग्रेस এখানে নিজেকে स्थापित করতে পারেনি। যদিও ২০২৪ সালে কংগ্রেস বিজেপিকে কঠিন টক্কর দিয়েছে, लेकिन हारने के बाद वह इस हार को पचाने में असमर्थ नजर आ रही है।
কংগ্রেসের অভিযোগের পিছনে একটি रणनीतिक मकसद भी हो सकता है — বিহার এবং অন্যান্য রাজ্যে आगामी चुनावों से पहले কেন্দ্র সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের विश्वसनीयता पर सवाल खड़े करना। এটি একটি রাজনৈতিক চাল হতে পারে ताकि जनता का ध्यान विपक्ष की ओर आकर्षित किया जा सके।