মমতার সতর্ক বার্তা: নেপাল সীমান্তে শান্ত থাকুন, ঝামেলা এড়ান

মমতার সতর্ক বার্তা: নেপাল সীমান্তে শান্ত থাকুন, ঝামেলা এড়ান

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেপালের অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্যবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। নেপালে Gen Z আন্দোলনের চাপের কারণে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বিশেষভাবে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের, যেমন শিলিগুড়ি ও কালিম্পং, সতর্ক করেছেন যেন তারা কোনো ঝগড়া বা সংঘর্ষে জড়িয়ে না পড়ে।

নেপালে রাজনৈতিক অস্থিরতা

নেপালে Gen Z তরুণদের তীব্র আন্দোলনের প্রভাবে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগ করেছেন। জনমানসের চাপে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আন্দোলনের সময় বিভিন্ন এলাকায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে এবং সড়কযুদ্ধে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে, যেখানে বহু মানুষ আহত হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নিরাপত্তা বাহিনীকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হয়েছে।

মমতার শান্তি বার্তা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আহ্বান: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যবাসীকে জানান যে নেপাল ভারতের অংশ নয় এবং এই ইস্যুতে কেন্দ্র সরকার পদক্ষেপ করবে। তিনি সীমান্তবর্তী এলাকায় শান্তি বজায় রাখার গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং কোনো ধরনের সংঘর্ষে জড়াতে না যাওয়ার পরামর্শ দেন।মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করেছেন, প্রতিবেশী দেশের শান্তি থাকলে আমাদেরও শান্তি থাকবে।

সীমান্তবর্তী এলাকায় সতর্কতা

উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি ও কালিম্পংয়ের মতো এলাকাগুলি নেপালের সীমান্ত ভাগাভাগি করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এলাকাবাসীর প্রতি বিশেষ সতর্কতা বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার হস্তক্ষেপ করবে না, তবে নাগরিকদের নিরাপত্তা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।

SIR নিয়ে মমতার অবস্থান

মুখ্যমন্ত্রী SIR (Special Identification Registration) ইস্যুতে পূর্বের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি উল্লেখ করেন, নির্বাচন কমিশনের প্রাক্তন কর্মকর্তা দাবি করেছেন যে কয়েক মাসের মধ্যে SIR করা সম্ভব নয়। ভোটার কার্ডকেও পরিচয়পত্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা তিনি বলেন।

মমতার শান্তি বার্তা সীমান্তবর্তী অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখার আশা জাগাচ্ছে। নেপালের রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও ভারত সরকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। ভবিষ্যতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

 

Leave a comment