উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে একটি পাহাড়ের উপরে অবস্থিত একটি মন্দির, যেখানে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ ভক্ত দর্শনের জন্য আসেন। এই মন্দির মনসা দেবীকে উৎসর্গীকৃত। এটি এমন এক পবিত্র স্থান, যেখানে মানুষের মনস্কামনা পূর্ণ হয় এবং বিশেষভাবে সর্পদোষ বা সাপের কামড়ের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মানুষ এখানে আসেন।
মন্দিরের ইতিহাস এবং এক রাজার ভক্তির কাহিনী
হরিদ্বারের মনসা দেবী মন্দিরটি ১৮১১ থেকে ১৮১৫ সালের মধ্যে নির্মিত হয়েছিল। এই কাজটি করিয়েছিলেন মানি মাজরার রাজা গোপাল সিং। কথিত আছে, তিনি ছিলেন মনসা দেবীর পরম ভক্ত এবং একটি গুহার পথ দিয়ে দেবীর দর্শন করতে যেতেন। যখন তাঁর মনস্কামনা পূর্ণ হয়েছিল, তখন তিনি দেবীর সম্মানে মন্দির নির্মাণ করেন। এই মন্দির আজ শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় স্থান নয়, এটি একটি শক্তিপীঠ হিসেবেও मान्यता লাভ করেছে।
মনসা দেবীকে কেন সাপের দেবী বলা হয়
হিন্দু বিশ্বাসে মনসা দেবীকে সাপের দেবী হিসেবে পূজা করা হয়। এর কারণ হল তাঁকে নাগরাজ বাসুকীর বোন হিসেবে মানা হয়। তাঁর সঙ্গে সর্বদা সাতটি সাপকে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে দেখানো হয়। অনেক মূর্তিতে দেবীর কোলে একটি বালকও দেখা যায়, যাঁকে তাঁর পুত্র আস্তিক মনে করা হয়। এই আস্তিকই জনমেজয়ের নাগযজ্ঞ বন্ধ করে নাগ বংশকে রক্ষা করেছিলেন।
মনসা দেবী সর্পদের অধিষ্ঠাত্রী দেবী হিসেবে মানা হন। তিনি সর্পদের রক্ষাকর্তা এবং তাদের সংকট থেকে মুক্তিদানকারী দেবী হিসেবে পূজিত হন। এই কারণে নাগ পঞ্চমী-র মতো উৎসবে তাঁর বিশেষ পূজা হয় এবং সাপের কামড় থেকে বাঁচতে বা তার চিকিৎসার জন্য लोग তাঁর आराधना করেন।
মনসা দেবীর সঙ্গে যুক্ত নাম এবং কাহিনী
অনেক জায়গায় মনসা দেবীকে বাসুকীও বলা হয়। এই নামটি তিনি তাঁর ভাই নাগরাজ বাসুকীর নাম থেকে পেয়েছেন। কিছু গল্পে তাঁকে কদ্রু ও কশ্যপের সন্তান বলা হয়েছে। আবার কিছু গ্রন্থে তাঁর জন্মের কাহিনী ভগবান শিবের সঙ্গে যুক্ত।
ভগবান শিবের সঙ্গে মনসা দেবীর সম্পর্ক কী
পুরাণে একটি কাহিনী অনুসারে, যখন সমুদ্র মন্থন হয়েছিল, তখন প্রথমে হলাহল বিষ উঠেছিল। সেই বিষ থেকে সমগ্র সৃষ্টির ধ্বংসের আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। তখন ভগবান শিব সেই বিষ পান করেছিলেন, যার ফলে তাঁর গলা নীল হয়ে গিয়েছিল। उस সময় ভগবান শিব তাঁর মন থেকে একটি কন্যাকে উৎপন্ন করেছিলেন, যিনি বিষকে নিয়ন্ত্রণ করার বর পেয়েছিলেন। এই কন্যাই মনসা দেবী নামে পরিচিত হন।
এই কারণে তাঁকে ভগবান শিবের মানস কন্যা বলা হয় এবং বিষের দেবী হিসেবেও তাঁর পূজা করা হয়। এই কাহিনী শুধুমাত্র তাঁর শক্তির প্রতীক নয়, এটি এও জানায় যে কিভাবে একজন দেবী নিজের সামর্থ্য দিয়ে ভোলেনাথকে রক্ষা করেছিলেন এবং পৃথিবীতে বিষের প্রভাব কমিয়েছিলেন।
মনসা দেবীর বিশেষ পূজা কোথায় কোথায় হয়
হরিদ্বার এবং পঞ্চকুলা ছাড়াও মনসা দেবীর পূজা বিহার, ঝাড়খণ্ড, বাংলা, ওড়িশা এবং অসমে বড় শ্রদ্ধার সঙ্গে করা হয়। উত্তর-পূর্ব ভারতের অনেক স্থানে গ্রামে-গ্রামে তাঁর মন্দির দেখতে পাওয়া যায়। বিশেষ করে নাগ পঞ্চমী-র দিনে এই মন্দিরগুলোতে প্রচুর ভিড় হয়। लोग দুধ, চাল এবং ফুল অর্পণ করে দেবীর কাছে सर्पदंश এবং রোগের থেকে মুক্তির জন্য প্রার্থনা করেন।
দেবী মনসা এবং জনমেজয়ের কাহিনী
আরেকটি प्रसिद्ध কাহিনী অনুসারে, রাজা জনমেজয় তাঁর বাবা परीक्षितের মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য একটি নাগযজ্ঞ করিয়েছিলেন, जिसमें पूरे नाग বংশকে समाप्त করার संकल्प নেওয়া হয়েছিল। उस समय आस्तिक नामक ব্রাহ্মণ, जो देवी मनसा का पुत्र था, यज्ञ को बीच में रोकने आया और अपनी युक्तियों से राजा को मना लिया। इससे नाग বংশ का संहार रुक गया। इस कारण मनसा देवी को नागों की रक्षक भी माना गया।
मनसा देवी की मूर्तियों में दिखते हैं सांप और पुत्र
অনেক স্থানে মনসা দেবীর মূর্তি সাপের সঙ্গে তৈরি করা হয়। দেবীর চারপাশে সাপের आकृति থাকে এবং কোথাও কোথাও তাঁর কোলে আস্তিককেও দেখানো হয়। यह छवि दर्शाती है कि वे सर्पों की माता और रक्षक दोनों हैं।
হরিদ্বারে মনসা দেবী মন্দিরের বর্তমান পরিস্থিতি
হরিদ্বারে অবস্থিত এই মন্দির শান্তি ও আধ্যাত্মের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। এখানে रोपवे-এর মাধ্যমেও মন্দিরে পৌঁছানো যায়, जिससे भक्तों को सुविधा होती है। मंदिर परिसर में भक्त अपनी मन्नतें बांधते हैं और पूरी होने पर नारियल चढ़ाते हैं या चुनरी बांधते हैं।