মহারাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি শহরে ১৫ই অগাস্টে মাংস নিষিদ্ধ করা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক বাড়ছে। উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার অধার্মিক দিনে এই নিষেধাজ্ঞাকে অনুচিত বলেছেন। বিরোধী দল এবং কসাই সমাজ এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে, অন্যদিকে সরকার আদেশটি প্রত্যাহার করবে নাকি বহাল রাখবে, তা নিয়ে দ্বিধায় রয়েছে।
Ajit Pawar on Meat ban: মহারাষ্ট্রে স্বাধীনতা দিবসে মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ করার ফলে রাজনৈতিক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। কল্যাণ-ডোমবিवली মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (কেডিএমসি) থেকে শুরু হওয়া এই সিদ্ধান্ত এখন মালেগাঁও, ছত্রপতি संभाजीनगर এবং নাগপুর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন পর্যন্ত পৌঁছেছে। বিরোধীদের তীব্র প্রতিবাদের পর এবার রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারও এ বিষয়ে প্রকাশ্যে নিজের মতামত জানিয়েছেন।
অধার্মিক অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা কেন?: উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার
অজিত পাওয়ার বলেছেন যে ১৫ই অগাস্ট, ২৬শে জানুয়ারি এবং মহারাষ্ট্র দিবসের মতো জাতীয় অনুষ্ঠানগুলি ধর্মীয় উৎসব নয়, তাই এই দিনগুলিতে মানুষের খাদ্যাভ্যাসের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত নয়। তিনি যুক্তি দিয়েছেন যে যদি এটি কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠান — যেমন আষাঢ়ী एकादशी বা মহাবীর জয়ন্তী —তে হত, তাহলে বিশ্বাসের ভিত্তিতে নিষেধাজ্ঞাটি বোঝা যেত, কিন্তু অধার্মিক অনুষ্ঠানে খাদ্য নির্বাচনের স্বাধীনতা থাকা উচিত।
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেছেন যে কোঙ্কন অঞ্চলের অনেক সম্প্রদায় শুকনো মাছ এবং সবজি দিয়ে বিশেষ পদ তৈরি করে এবং গ্রামীণ ও আদিবাসী সমাজে ছুটির দিনে আমিষ খাবার উপভোগ করা সাধারণ ব্যাপার। এমন পরিস্থিতিতে, এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা মানুষের ঐতিহ্য এবং জীবনযাত্রার উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।
বিরোধী দলের তীব্র আপত্তি এবং সরকারের উপর নিশানা
কেডিএমসির সিদ্ধান্তের পর থেকেই বিরোধী দল সরকারের উপর আক্রমণ চালাচ্ছে। শিবসেনা (উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে) নেতা আদিত্য ঠাকরে বলেছেন যে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের এটা বলার অধিকার নেই যে लोगों को क्या खाना चाहिए। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন যে আগরি ও কোলি সম্প্রদায়ের কী হবে, যাদের খাদ্য তালিকায় আমিষ গুরুত্বপূর্ণ?
এমএনএস নেতা বালা নন্দগাঁওকর এটিকে অপ্রয়োজনীয় নিষেধাজ্ঞা আখ্যা দিয়ে সরকারকে অবিলম্বে এই আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। একই সময়ে, কংগ্রেসের वरिष्ठ नेता विजय वडेट्टीवार এই পদক্ষেপকে রাস্তাঘাটের বেহাল দশা, ট্র্যাফিক জ্যাম এবং দূষণের মতো আসল সমস্যা থেকে জনগণের দৃষ্টি সরানোর চেষ্টা বলে অভিহিত করেছেন।
রাজ্যে বাড়ছে সামাজিক প্রতিরোধ
এই বিতর্কের মধ্যে কসাই সমাজও প্রতিবাদে নেমেছে। তাদের বক্তব্য, যদি ১৫ই অগাস্টের মাংসের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া না হয়, তাহলে তারা সরাসরি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের সদর দপ্তরের বাইরে মাংস বিক্রি করে প্রতিবাদ জানাবে। সমাজের নেতাদের যুক্তি, এই সিদ্ধান্ত শুধু তাদের জীবিকার উপর আঘাত হানে না, বরং মানুষের ব্যক্তিগত পছন্দের উপরও হস্তক্ষেপ করে।
রাজনৈতিক চাপে সরকার
অজিত পাওয়ারের এই বিবৃতির পর রাজ্য সরকারের মধ্যেও মতভেদের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র फडणবিশের উপর এখন এই চাপ রয়েছে যে তিনি হয় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করুন, নাহলে বিরোধী দল ও সাধারণ জনগণের বিরোধিতার सामना करें। যেহেতু এই বিষয়টি সরাসরি ধর্মীয় অনুভূতির সাথে জড়িত নয়, তাই সরকারের জন্য নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা রাজনৈতিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
আস্থা এবং স্বাধীনতার মধ্যে সংঘাত
এই বিতর্ক শুধু মাংস বিক্রির নয়, বরং আস্থা এবং মানুষের ব্যক্তিগত স্বাধীনতার মধ্যে ভারসাম্যের বিষয়। ধর্মীয় উৎসবে নিষেধাজ্ঞা অনেক সময় लोग मान लेते हैं, কিন্তু জাতীয় উৎসবে खानपान रोकना कई लोगों को गलत लगता है। অজিত পাওয়ারের বক্তব্য, গণতান্ত্রিক দেশে প্রত্যেক মানুষের अपना खाना चुनने की आजादी होनी चाहिए, বিশেষ করে যখন मौका धार्मिक न हो।