মেরঠ নাক ঘষানো কাণ্ড: বিজেপি নেতার তিন সঙ্গী গ্রেপ্তার, বিকুলের খোঁজে পুলিশ

মেরঠ নাক ঘষানো কাণ্ড: বিজেপি নেতার তিন সঙ্গী গ্রেপ্তার, বিকুলের খোঁজে পুলিশ

মেরঠ-এ বিজেপি নেতা বিকুল চপরাণার দ্বারা এক ব্যবসায়ীকে নাক ঘষানোর ঘটনায় তাঁর তিন সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জামিন অযোগ্য ধারা যুক্ত করে মামলার তদন্ত ত্বরান্বিত করেছে, যখন বিকুলের খোঁজ চলছে।

মেরঠ: তেজगढ़ী মোড়ে ব্যবসায়ী সত্যম রাস্তোগীর সাথে মারধর এবং প্রকাশ্যে নাক ঘষানোর ঘটনাটি রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। বিবাদ বাড়ার পর, স্থগিত বিজেপি নেতা বিকুল চপরাণার তিন সঙ্গীকে বুধবার গভীর রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ মামলায় জামিন অযোগ্য ধারা যোগ করেছে। এসপি সিটি আয়ুষ বিক্রম সিং জানিয়েছেন যে বিকুল চপরাণার অবস্থান ফরিদাবাদে পাওয়া গেছে, যেখানে অভিযান চালানো হচ্ছে। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য দুটি পুলিশ দল সক্রিয় রয়েছে।

পার্কিং বিবাদ নিয়ে ঝগড়া 

১৯ অক্টোবর রাতে পার্কিং বিবাদ নিয়ে বিকুল চপরাণা এবং তার সঙ্গীরা ব্যবসায়ী সত্যম রাস্তোগী এবং তার বন্ধুর উপর হামলা চালায়। অভিযোগ, এই সময় তারা গাড়ির কাঁচ ভাঙে এবং পুলিশের উপস্থিতিতে রাস্তায় নাক ঘষিয়ে ক্ষমা চায়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর শহর জুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ২১ অক্টোবর সত্যমের ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা দায়ের করে। এই দিনই বিকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, কিন্তু রাতেই আদালত থেকে জামিন পেয়ে যায়।

গ্রেপ্তারকৃত অভিযুক্ত এবং পুলিশি ব্যবস্থা

গ্রেপ্তারকৃত তিন অভিযুক্ত বিকুলের ছাত্র সঙ্গী – হ্যাপি ভাদানা (এলএলবি ছাত্র), আয়ুষ শর্মা (এমবিএ ছাত্র), এবং সুবোধ যাদব (বিটেক ছাত্র)। এদের জেলে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে কীর্তি প্যালেস ফাঁড়ির ইনচার্জ, একজন হেড কনস্টেবল এবং একজন সিপাহীকে লাইন হাজিরা করিয়েছে, কারণ তারা ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। এসপি সিটি আয়ুষ বিক্রম সিং জানিয়েছেন যে পুরো ঘটনায় আরও ছয়জন অভিযুক্তের পরিচয়ও নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিজেপি নেতারা ব্যবসায়ীকে ন্যায়বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন

ঘটনার পর বিরোধীরা বিজেপির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব এবং গুন্ডামিকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে। এর পর বিজেপির প্রবীণ নেতারা ব্যবসায়ী সত্যম রাস্তোগীর সাথে তার বাড়িতে দেখা করেন।

বিজেপি জেলা সভাপতি শিবকুমার রানা, মহানগর সভাপতি বিবেক রাস্তোগী, প্রদেশ বাণিজ্য কোষের আহ্বায়ক বিনীত আগরওয়াল, এবং অন্যান্য নেতারা ব্যবসায়ীর দুঃখ ভাগ করে নিয়ে ন্যায়বিচারের আশ্বাস দেন। ব্যবসায়ী আবেগপ্রবণ হয়ে বলেন যে, যে দলের উপর তিনি ভরসা করেছিলেন, সেই দলেরই একজন নেতা তার সম্মান নষ্ট করে দিয়েছে।

Leave a comment