মেরঠে এক ব্যবসায়ীর দ্বিতীয় স্ত্রী সীমার বাড়িতে মুখোশধারী দুষ্কৃতী ঢুকে গুলি করেছে। মাথা ও পায়ে গুলি নিয়ে তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
মেরঠ: রবিবার সকালে সরধনা থানা এলাকায় এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে, যখন স্থানীয় ব্যবসায়ী মুকেশ গুপ্তার দ্বিতীয় স্ত্রী সীমাকে এক মুখোশধারী দুষ্কৃতী পিস্তল দিয়ে গুলি করে। সীমা সেই সময় তার নতুন বাড়িতে একা ছিলেন এবং রান্না করছিলেন। হঠাৎ দুষ্কৃতী বাড়িতে ঢুকে পড়ে এবং মাথা ও পায়ে গুলি করে।
ঘটনার পরপরই সীমা তার স্বামীকে ফোন করে হামলার খবর জানান। পরিবারের সদস্যরা তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান, যেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। পুলিশ তাকে বাঁচানোর জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিয়েছে এবং আহতদের চিকিৎসা চলছে।
মুকেশ গুপ্তার বাড়িতে গুলি চালানোর ঘটনা
তথ্য অনুযায়ী, মুকেশ গুপ্তা তার পরিবারের জন্য সরধনা এলাকায় নতুন বাড়ি বানাচ্ছিলেন। সীমা সেই বাড়িতে একা ছিলেন, তখনই হামলাকারী তার উপর হামলা করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ এও খতিয়ে দেখছে যে, হামলাটি মুকেশ গুপ্তার দ্বিতীয় বিয়ের কারণে পারিবারিক মতবিরোধ বা সম্পত্তি-সংক্রান্ত বিবাদের সাথে জড়িত হতে পারে। যদিও, পরিবারের সদস্যরা এ বিষয়ে খোলাখুলি কিছু বলতে চাইছেন না। পুলিশ এখনও সীমার কাছ থেকে জবানবন্দি নেওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে, যাতে হামলার উদ্দেশ্য স্পষ্ট হতে পারে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা কঠোর ব্যবস্থার আবেদন জানিয়েছেন
ঘটনার খবর পেয়েই এলাকার ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা জড়ো হন এবং হামলার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অনেকেই সীমার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, এই ধরনের হামলা শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি। তারা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেছেন যাতে এই ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।
সীমার উপর গুলি চালানোর ঘটনার পুলিশি তদন্ত অব্যাহত
পুলিশের মতে, সীমার উপর গুলি চালানো এবং প্রাণঘাতী হামলার পেছনে ব্যক্তিগত বিবাদ, পারিবারিক মতবিরোধ বা সম্পত্তি-সংক্রান্ত কারণ থাকতে পারে। পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, পুরো বিষয়টি সূক্ষ্মভাবে তদন্ত করা হচ্ছে এবং প্রমাণ সংগ্রহের কাজ চলছে।
সীমার নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং তদন্ত চলাকালীন হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে। পুলিশ এও জানিয়েছে যে, যেকোনো ধরনের নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলায় এলাকায় অতিরিক্ত টহল বাড়ানো হয়েছে।
