তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিন বিহারের এক সমাবেশে ভুল করে রাহুল গান্ধীর বদলে রাজীব গান্ধীর নাম বলে ফেলেন। ডিএমকে ভিডিওটি সম্পাদনা করে, বিজেপি ও টিভিকের মতো দলগুলো এটিকে রাজনৈতিক ইস্যু করে প্রতিবাদ জানায়।
এমকে স্টালিন: তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিন আবারও আলোচনায়। এবার কারণ হল তাঁর বক্তৃতার একটি ভাইরাল ভিডিও, যেখানে তিনি ভুল করে রাহুল গান্ধীর বদলে রাজীব গান্ধীর নাম উল্লেখ করেন। এই ঘটনাটি বিহারে আয়োজিত ভোটার অধিকার সমাবেশে ঘটেছিল। ভিডিওটি দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে এবং রাজনৈতিক বিরোধীরা এটিকে একটি ইস্যু বানিয়ে তোলে। ডিএমকে এই ভুল সংশোধনের জন্য ভিডিওটি সম্পাদনা করার চেষ্টা করে, কিন্তু এই প্রচেষ্টা বিতর্কের জন্ম দেয়। বিজেপি এবং অভিনেতা বিজয়ের দল টিভিকের মতো দলগুলো এই ভুলটি ধরে স্টালিনকে নিশানা করে এবং এটিকে রাজনৈতিক ফায়দা আদায়ের সুযোগ করে নেয়।
সমাবেশে ঘটে যাওয়া ভুল
বিহারের ভোটার অধিকার সমাবেশে স্টালিন মঞ্চে ভাষণ দিচ্ছিলেন। তিনি তাঁর বক্তৃতার শুরুতে রাহুল গান্ধী এবং অনুষ্ঠানের অন্যান্য আয়োজকদের নাম উল্লেখ করেন, কিন্তু হঠাৎ তাঁর মুখ ফসকে রাহুল গান্ধীর পরিবর্তে রাজীব গান্ধীর নাম বেরিয়ে আসে। এটি একটি ছোটখাটো ভুল ছিল, কিন্তু ক্যামেরা এবং সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে এটি দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়।
যদি ভুলটি সঙ্গে সঙ্গে সামলে নেওয়া হত, তাহলে হয়তো বিতর্ক হত না, কিন্তু ডিএমকে এরপর ভিডিওটি সম্পাদনা করার সিদ্ধান্ত নেয়। তারা ভিডিওতে পরিবর্তন এনে রাহুল গান্ধীর নাম শোনানোর চেষ্টা করে। এই সম্পাদনা স্পষ্টতই নকল মনে হচ্ছিল এবং সহজেই সনাক্ত করা যাচ্ছিল।
রাজনৈতিক বিরোধীরা ইস্যু বানালো
বিজেপি এবং টিভিকের মতো দলগুলি এই ভিডিওটি হাতে পায় এবং এটিকে স্টালিন ও ডিএমকে-র উপর নিশানা করার সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করে। বিজেপি-র প্রাক্তন তামিলনাড়ু সভাপতি কে. আন্নামালাই দুটি ভিডিও, অর্থাৎ মূল এবং সম্পাদিত সংস্করণ, সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে স্টালিনের ভুল এবং ডিএমকে-র সম্পাদনার চেষ্টা জনসমক্ষে তুলে ধরেন।
বিজেপি জানায় যে কাগজে নাম পড়ে ভুল বলা এক জিনিস, কিন্তু এটিকে সম্পাদনা করে সংশোধনের চেষ্টা করা আরও বেশি অবাক করার মতো। টিভিকের মতো দলগুলোও স্টালিনের ভুলের মজা করে এবং এটিকে রাজনৈতিক ইস্যু বানাতে কোনো কসুর ছাড়েনি।
ডিএমকে-র প্রতিক্রিয়া
তবে, এখনও পর্যন্ত স্টালিন বা ডিএমকে-র পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। বিরোধীরা এটিকে ডিএমকে-র রাজনৈতিক কৌশল এবং ভুল ঢাকার চেষ্টা হিসেবে দেখছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিওটি নিয়ে অনেক ব্যবহারকারী স্টালিনের ভুলের সমালোচনা করে মজা করেছেন, আবার কিছু লোক এটিকে একটি সামান্য ভুল হিসেবে অভিহিত করেছেন যা সংশোধনের প্রয়োজন ছিল না।
মিডিয়া কভারেজ
ভিডিও সম্পাদনা এবং স্টালিনের ভুলটি মিডিয়ায়ও শিরোনামে আসে। টিভি চ্যানেল এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো এটিকে প্রধান খবর হিসেবে দেখায় এবং এটিকে একটি রাজনৈতিক বিতর্কে পরিণত করে। অনেক সাংবাদিক এটিকে ডিএমকে-র যোগাযোগ কৌশল এবং ভুল ঢাকার প্রয়াস হিসেবে তুলে ধরেন।