প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সাথে দেখা করেছেন, যা এখন রাজনৈতিক মহলে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের দুটি সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত নেতাদের এই সাক্ষাৎ অনেক রাজনৈতিক জল্পনাকে উস্কে দিচ্ছে।
নয়াদিল্লি: ভারতের রাজনীতিতে আবারও চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন, যার পরে রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। এই সাক্ষাৎ এমন সময়ে হয়েছে যখন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে এবং বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা
জগদীপ ধনখড় ২০২১ সালের ২১ জুলাই স্বাস্থ্যজনিত কারণে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। এরপর নির্বাচন কমিশন ১ আগস্ট উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে। ২০২৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর উপরাষ্ট্রপতি পদের জন্য ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী মোদী ও অমিত শাহের রাষ্ট্রপতি মুর্মুর সঙ্গে এই সাক্ষাৎ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এই সাক্ষাৎ এমন এক সময়ে হয়েছে যখন কেন্দ্র সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে টানাপোড়েন চলছে। বৈঠকের ছবিও সামনে এসেছে, তবে সরকারিভাবে বৈঠকে কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা স্পষ্ট করা হয়নি। তবে বিশ্লেষকদের ধারণা, এই সাক্ষাৎ উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন, সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা এবং বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের নিরিখে কৌশলগত আলোচনার অংশ হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিদেশ সফর থেকে ফেরার পর প্রথম বৈঠক
উল্লেখ করা যেতে পারে যে প্রধানমন্ত্রী মোদী সম্প্রতি যুক্তরাজ্য ও মালদ্বীপের দ্বিপাক্ষিক সফর থেকে ফিরেছেন। সফর থেকে ফেরার পর রাষ্ট্রপতি মুর্মুর সঙ্গে এটি তাঁর প্রথম আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ ছিল। এর আগে প্রধানমন্ত্রী মোদী ও রাষ্ট্রপতি মুর্মুর মধ্যে ১৬ জুলাই ২০২৫ তারিখেও সাক্ষাৎ হয়েছিল, যখন সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছিলেন। এখন, সাম্প্রতিক এই সাক্ষাৎকে শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিক মনে করা সহজ নয়, বিশেষ করে যখন দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলছে।
প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় তাঁর ইস্তফাপত্রে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কারণের কথা উল্লেখ করেছেন, তবে এর পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক জল্পনাও সামনে এসেছে। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে রাজনৈতিক বিশ্লেষণ পর্যন্ত, সর্বত্রই এই আলোচনা ছিল যে ধনখড়ের ইস্তফা কোনও বড় রাজনৈতিক সমীকরণের অংশ ছিল কিনা। ধনখড়, যাঁর কার্যকাল বিতর্ক থেকে দূরে এবং ভারসাম্যপূর্ণ ছিল, তাঁর আকস্মিক ইস্তফা বিরোধী দল এবং সংবাদমাধ্যমের নজরে একটি বড় ঘটনা ছিল। যদিও তিনি নিজে স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণরূপে স্বাস্থ্যজনিত কারণে নেওয়া হয়েছে।