বর্ষার মরশুমে আটা, চাল বা অন্যান্য শস্যে ছোট ছোট পোকা দেখা দেওয়া একটি সাধারণ সমস্যা। গরম-আর্দ্র আবহাওয়ায় এই সমস্যা বেড়ে যায়, যা রুটিন ব্যবহারের শস্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
কেন পোকা আটা-চালে আসে?
আটা বা চাল সংরক্ষণে ব্যবহৃত পাত্র এবং আর্দ্রতা পোকার জন্ম দানের প্রধান কারণ। বর্ষার সময় এসব শস্যের মধ্যে পোকা দ্রুত জন্মায় এবং বাড়ির রান্নাঘরে ঝামেলার সৃষ্টি করে।
নিমপাতা – প্রাকৃতিক রক্ষাকবচ
নিমপাতা ছোট পোকার জন্য অত্যন্ত কার্যকর। শুকনো নিমপাতা কৌটোয় রাখলেই পোকার বৃদ্ধি থেমে যায়। নিমের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও শ্বাসরোধী গুণ পোকার হাত থেকে শস্যকে সুরক্ষিত রাখে।
লবঙ্গের ম্যাজিক – ছুটে পালাবে পোকা
আটায় লবঙ্গ রাখুন, তবে পুরো লবঙ্গ একটি পোটলিতে বেঁধে রাখবেন যাতে চালের স্বাদ পরিবর্তিত না হয়। লবঙ্গ পোকার জন্য অপ্রিয় এবং তারা দ্রুত চলে যায়।
হিং – রান্নাঘরের ব্রহ্মাস্ত্র
হিংও পোকা তাড়াতে কার্যকর। ছোট পোটলিতে হিং রাখুন, যাতে আটার স্বাদে কোনও প্রভাব না পড়ে। এটি পোকার প্রতি একটি প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধক তৈরি করে।
তেজপাতার শক্তি
৩-৪টি তেজপাতা আটার কৌটোয় রাখলেই পোকার উপদ্রব বন্ধ হয়। তেজপাতা ঘুনকে দমিয়ে দেয় এবং পুনরায় তাদের আসার সুযোগ দেয় না।
এয়ার টাইট কন্টেনার ব্যবহার করুন
আটা সংরক্ষণের জন্য স্টিল বা মিশ্র ধাতুর পাত্র ব্যবহার সাধারণ হলেও, এগুলির ঢাকনার ফাঁক পোকা প্রবেশের সুযোগ দেয়। তাই এয়ার টাইট কন্টেনারে সংরক্ষণ করলে পোকা ঘরে ঢুকতে পারে না।
পরিশেষে সতর্কতা
এই সহজ ঘরোয়া প্রতিকারগুলো কার্যকর হলেও, সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা উত্তম। রান্নাঘরের ছোট ছোট জিনিস দিয়ে পোকা দমন করা সম্ভব, কিন্তু নিয়মিত পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অপরিহার্য।