মুগ ডাল: আধুনিক গবেষণা ও আয়ুর্বেদ উভয়ই মুগ ডালকে সুপারফুড হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। মুগ ডালে প্রোটিন, কম চর্বি, ফাইবার, পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে, যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও এটি উপকারী, কারণ এর গ্লাইসেমিক সূচক কম। এছাড়া মুগ ডালের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মানসিক সুস্থতা উন্নত করে।
মুগ ডালের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা
মুগ ডাল প্রোটিনে সমৃদ্ধ এবং কম চর্বিযুক্ত, যা হৃদরোগ প্রতিরোধে কার্যকর। এতে ফাইবার, পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকার কারণে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। নিয়মিত খেলে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।মুগ ডালে থাকা ভিটামিন সি, ই এবং ফলিক অ্যাসিড ত্বক উজ্জ্বল রাখে এবং চুল পড়া রোধ করে। এছাড়া এটি মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়ক, কারণ এতে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকে।
ডায়াবেটিস ও হজমে সহায়ক
মুগ ডালের গ্লাইসেমিক সূচক কম থাকায় রক্তে শর্করার দ্রুত বৃদ্ধি ঘটে না। তাই এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আদর্শ খাদ্য। হালকা হওয়ায় এটি সহজে হজম হয় এবং অসুস্থ বা বয়স্ক ব্যক্তিরাও খেতে পারেন।ডালের খিচুড়ি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায়ও ব্যবহৃত হয়, কারণ এটি পেটের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে গ্যাস বা পেট ফাঁপা হতে পারে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও মানসিক স্বাস্থ্য
মুগ ডালের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে ক্ষতিকারক পদার্থ বের করতে সাহায্য করে। নিয়মিত খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং শরীর শক্তিশালী হয়। ভিটামিন ও খনিজের কারণে মানসিক চাপ কমে এবং মন শান্ত থাকে।
সতর্কতা ও সঠিক পরিমাণ
সকল বয়সের মানুষের জন্য মুগ ডাল উপকারী হলেও, অতিরিক্ত খাওয়া ক্ষতিকারক হতে পারে। হজম সহজ হওয়া সত্ত্বেও একসঙ্গে বেশি খেলে গ্যাস বা পেট ফাঁপা হতে পারে। সুতরাং, ডালটি সঠিক পরিমাণে খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
মুগ ডাল কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কার্যকর। এতে ভিটামিন, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, নিয়মিত মুগ ডাল খাওয়া সমস্ত বয়সের মানুষের জন্য স্বাস্থ্যকর।