নালন্দার ইমামগঞ্জ গ্রামে মঙ্গলবার রাতে একটি জরাজীর্ণ বাড়ির ছাদ ধসে যাওয়ায় ৮০ বছর বয়সী এক মহিলা এবং ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনায় ১২ বছর বয়সী একটি শিশু গুরুতর আহত হয়েছে। পরিবার ও গ্রামবাসীরা ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছে, অন্যদিকে পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
Bihar: নালন্দা জেলার ইমামগঞ্জ গ্রামে মঙ্গলবার গভীর রাতে প্রায় ৬০ বছর পুরোনো একটি জরাজীর্ণ বাড়ির ছাদ হঠাৎ করে ধসে পড়ে। দুর্ঘটনায় ধর্মবীর কুমারের মা ফুলিয়া দেবী (৮০) এবং তার ছেলে আশীষ কুমার (১৪) ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে মারা যান। একইসঙ্গে, ছোট ছেলে নিরঞ্জন কুমার (১২) গুরুতর আহত হয় এবং তাকে চিকিৎসার জন্য পাওয়াপুরী মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। গ্রামবাসীদের এবং পুলিশের সহায়তায় ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে আহতদের উদ্ধার করা হয়েছে।
ছাদ ধসে ঠাকুমা ও নাতির মৃত্যু
ঘটনাটি মঙ্গলবার রাত প্রায় ১১টার দিকে ঘটেছে বলে জানা গেছে। মৃত বৃদ্ধা ফুলিয়া দেবী, তার ১৪ বছর বয়সী নাতি আশীষ কুমার এবং ১২ বছর বয়সী শিশু নিরঞ্জন কুমার তাদের পরিবারের সাথে পুরোনো ঘরের মধ্যে ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ করেই বাড়ির ছাদ грохот করে ভেঙে পড়ে।
ঘটনার তীব্র শব্দ শুনে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এবং প্রতিবেশীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন। ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়া লোকজনকে উদ্ধার করার জন্য গ্রামবাসীরা তৎক্ষণাৎ সাহায্য করেন। এই জরুরি পরিস্থিতিতে ফুলিয়া দেবী ও আশীষ কুমারকে ধ্বংসস্তূপ থেকে বের করা হলেও, চিকিৎসার আগেই তাদের মৃত্যু হয়। वहीं 12 বছর বয়সী নিরঞ্জন কুমারকে স্থানীয় लोगोंের সহায়তায় ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করে পাওয়াপুরী মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে।
পুলিশ-প্রশাসনের সতর্কতা জারি
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রুই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কুণাল কুমার ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তিনি জানান, এই দুর্ঘটনাটি বাড়ির পুরোনো এবং দুর্বল ছাদ ধসে যাওয়ার কারণে ঘটেছে। পুলিশ ধ্বংসস্তূপ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এলাকায় অনেক পুরোনো বাড়ি রয়েছে, যেগুলিতে বসবাসকারী মানুষজন বিপদে পড়তে পারেন। প্রশাসন সতর্কতা জারি করে জানিয়েছে যে, এই ধরনের জরাজীর্ণ বাড়িতে রাতে থাকা উচিত না।
দুর্ঘটনায় গ্রামবাসীদের মধ্যে ভয় ও উদ্বেগ
ইমামগঞ্জ গ্রামে দুর্ঘটনার পরে মৃত পরিবারের সদস্যদের কান্না থামছে না। গ্রামবাসীরা বলছেন যে, এই ঘটনা শুধুমাত্র একটি পরিবারের মর্মান্তিক ঘটনা নয়, বরং পুরো এলাকার জন্য একটি সতর্কবার্তা।
গ্রামের মানুষেরা বলছেন যে, আশেপাশের অনেক গ্রামে এখনও পুরোনো বাড়ি রয়েছে, যা যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে। তারা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন যাতে পুরোনো বাড়িগুলির অবিলম্বে মেরামত এবং সুরক্ষা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা হয়।
পরিবারের দাবি
দুর্ঘটনার পরে মৃত পরিবার সরকারের কাছে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এবং পরিবারের জন্য চাকরি বা রোজগারের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছে। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে যে এই দুর্ঘটনায় তাদের জীবন সম্পূর্ণরূপে বদলে গেছে এবং তাদের জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ প্রয়োজন।
স্থানীয় লোকেরাও প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেছেন যাতে জরাজীর্ণ বাড়িগুলি চিহ্নিত করে সেগুলিকে সুরক্ষিত করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়। उनका कहना है कि भविष्य में ऐसे हादसे रोकने के लिए समय रहते कदम उठाना जरूरी है।