বিহারের নওয়াদাতে রাহুল গান্ধী এবং তেজস্বী যাদবের 'ভোটার অধিকার যাত্রা' চলাকালীন মহাজোট সমর্থকরা প্রধানমন্ত্রী মোদীর পোস্টার মাটিতে ফেলে পা দিয়ে মাড়িয়ে দেয়। এই ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তেজনা বেড়েছে এবং পুলিশকে হালকা লাঠিচার্জ করতে হয়। বিজেপি এবং কংগ্রেস সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়।
Nawada: বিহারের ১৯শে আগস্ট রাহুল গান্ধী এবং তেজস্বী যাদবের 'ভোটার অধিকার যাত্রা' চলাকালীন মহাজোট সমর্থক এবং বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ভিডিওতে কিছু মহাজোট সমর্থককে প্রধানমন্ত্রী মোদীর পোস্টার মাটিতে ফেলে পা দিয়ে মাড়াতে এবং ছেঁড়ার চেষ্টা করতে দেখা যায়। ঘটনাটি হিসুয়ার বিশ্ব শান্তি চকে ঘটে, যেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ হালকা লাঠিচার্জ করে এবং বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক অনিল সিংকে আটক করে। এই বিবাদ নওয়াদার রাজনৈতিক আবহাওয়াকে উত্তপ্ত করে তুলেছে।
ভোটার অধিকার যাত্রার সময় পোস্টার বিতর্ক
বিহারের নওয়াদাতে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি এবং লোকসভার নেতা রাহুল গান্ধী এবং বিহার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদবের ভোটার অধিকার যাত্রা চলাকালীন একটি বিতর্কিত ঘটনা সামনে আসে। ভাইরাল ভিডিওতে কিছু মহাজোট সমর্থককে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পোস্টার মাটিতে ফেলে পা দিয়ে মাড়াতে দেখা যায়।
এই ঘটনার সময় কিছু লোককে পোস্টার ছিঁড়তে এবং পোড়াতেও দেখা যায়। ঘটনার সময় হিসুয়ার বিশ্ব শান্তি চকে উভয়পক্ষের সমর্থকরা মুখোমুখি হয়ে যায়।
যাত্রার কারণে স্থানীয় মানুষের মধ্যে উত্তেজনা
রাহুল গান্ধী এবং তেজস্বী যাদবের যাত্রার কারণে নওয়াদার রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে স্থানীয় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হালকা লাঠিচার্জ করে। এই ঘটনায় বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক অনিল সিংকে আটক করা হয়।
স্থানীয় জনতা এবং সমর্থক উভয় পক্ষের মধ্যে পোস্টার নিয়ে তীব্র বিতর্ক হয়। বিজেপি এবং কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে এই বিরোধ এলাকার নিরাপত্তা এবং আইন শৃঙ্খলা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।
বিজেপির অসন্তোষ প্রকাশ
জেলা সভাপতি অনিল মেহতা এবং বিজেপির অন্যান্য নেতারা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তাদের বক্তব্য, রাহুল গান্ধী এবং তেজস্বী যাদবের যাত্রার কারণে নওয়াদার রাজনৈতিক পরিবেশ খারাপ হয়ে গেছে। তারা পোস্টারকে অপমান করাকে গণতন্ত্র এবং সাংবিধানিক মূল্যবোধের অপমান বলে অভিহিত করেছেন।
বিজেপি নেতাদের আরও বক্তব্য, এই ধরনের ঘটনা মহাজোটের গুন্ডামিকেই তুলে ধরে এবং এর ফলে স্থানীয় জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ও ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
কংগ্রেসের যাত্রার উদ্দেশ্য এবং দলের বক্তব্য
কংগ্রেস স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে এই যাত্রা গণতন্ত্র এবং সংবিধান রক্ষার বার্তা নিয়ে করা হয়েছে। রাহুল গান্ধী এবং তেজস্বী যাদবের বক্তব্য, ভোটার অধিকার যাত্রার উদ্দেশ্য হল ভোটারদের সচেতন করা এবং তাদের সামগ্রিক রাজনৈতিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
কংগ্রেস নেতারা বিজেপির অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে বলেছেন যে পোস্টার বিতর্ক নিয়ে তাদের কোনো ধরনের হিংসায় জড়িত হওয়ার উদ্দেশ্য ছিল না।